তিতাস প্রতিনিধি ঃ কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের নামে এক মাস পর মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। গত মাসের ২৫ জুন উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের কানাই নগর গ্রামের আব্দুল হাকিম মিয়ার নির্মাণাধীন বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। এঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক আঃ কাদিরকে (৫০) অভিযুক্ত করে তিতাস থানায় একটি মামলা রুজু করেন (নংÑ১১, তারিখ ২৬/৭/২০২১ইং)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে প্রতিবন্ধী কিশোরী তার নিজ বাড়ির পিছনে পাকা রাস্তায় যাওয়ার সময় একই গ্রামের আব্দুল হাকিমের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের নিকট পৌঁছলে উক্ত বিল্ডিং নির্মাণের কন্টাক্টর আব্দুল কাদির মোল্লা প্রতিবন্ধীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে বিল্ডিংয়ের ভিতর নিয়ে ধর্ষণ করে। ভিকটিম বাড়িতে এসে তার মা ও চাচীকে বিষয়টি জানায়। পরে প্রতিবেশীরা কাদির মোল্লাকে আটক করে গাছের সাথে বেধে বেদম মারপিট করলে একপর্যায়ে ধর্ষক গ্রামবাসীর বিচার মানবে বলে অলিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নিজেকে আত্মরক্ষা করে এবং পরবর্তীতে পালিয়ে যায়। এবিষয়ে ভিকটিমের বাবার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রামবাসী বিচার করে দিবে বলে আমাকে আশ্বাস দিয়ে ছিল কিন্তু কাদির পালিয়ে যাওয়ায় আর বিচার হয়নি, তাই মামলা করতে আমার দেরী হয়েছে।
এদিকে ওই গ্রামের গোলাম মাওলা ও মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কাদিরকে আটক করে গাছের সাথে বেধে মারধর করছে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং কাদির বিচার মানার অঙ্গীকার করে স্টাম্পে স্বাক্ষর করে এসময় আমরাও স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করি। পরে কাদির পালিয়ে যাওয়ায় আর বিচার হয়নি। তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে একজনকে আসামি করে মামলা করেছে। আমরা আসামিকে গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত আছি।