উত্তাল সাগরে ৭ ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ২০ জেলে, একজনের মরদেহ উদ্ধার
Published : Wednesday, 28 July, 2021 at 12:00 AM
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় অন্তত সাতটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে বিভিন্ন সময়ে এসব ট্রলার ডুবে যায়।
এতে প্রায় ২০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া এই ২০ জেলের বাইরে দুপুরে উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকা থেকে স্থানীয় জেলেদের প্রচেষ্টায় এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। সর্বশেষ পাওয়া খবরে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে কোস্টগার্ড।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন সময়ে উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন এলাকায় ছয়টি ট্রলার ও শেখেরখিল ইউনিয়ন এলাকায় একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে প্রায় ২০ জেলে নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়। দুপুরে চাম্বল ইউনিয়ন এলাকায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি কোস্টগার্ডকে জানানো হয়েছে। বিকেল থেকে তারা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কোস্টগার্ডের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিকেল ৪টার দিকে বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকায় আমরা ট্রলারডুবির খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জাহাজ ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেয়। বর্তমানে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’
এছাড়া আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে বঙ্গোপসাগরের পতেঙ্গা সৈকতের অদূরে আনন্দ বাজার এলাকায় উত্তাল সাগরে ‘এমটি সুফলা’ নামে একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার ডুবে গেছে।
এদিকে (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় লঘুচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুর তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ভারি বর্ষণের সতর্কবাণীতে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।
অতিভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্কবাণীতে জানানো হয়।