ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
চান্দিনায় ‘কঠোর লকডাউনে’ দোকান-পাট খোলা
Published : Wednesday, 28 July, 2021 at 12:00 AM
প্রশাসনের নীরব ভূমিকা---
রণবীর ঘোষ কিংকর: কুমিল্লার চান্দিনায় ‘কঠোর লকডাউনে’ খোলা রয়েছে দোকান-পাট, হাট-বাজার। বাজার ও সড়কে মানুষের ভীড়। অধিকাংশরাই মানছে না স্বাস্থ্য বিধি এমনকি ‘কঠোর লকডাউনের’ নিষেধাজ্ঞা।
চান্দিনা উপজেলা সদরের পৌরসভা নিয়ন্ত্রিত পৌর সুপার মার্কেটের কাপড় দোকানসহ সকল প্রকার দোকান-পাট-শপিংমল খোলা রয়েছে। উপজেলার মাধাইয়া বাজার, নবাবপুর বাজার, মহিচাইল বাজার সহ সকল হাট-বাজারেই সকল প্রকার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। চলছে গরু বাজারও।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) চান্দিনা উপজেলা সদর ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, শপিংমল খোলা রেখে দেদারসে ব্যবসা পরিচালনা করছেন ব্যবসায়ীরা। পৌর সুপার মার্কেট, বামুন চৌধুরী মার্কেট, দত্ত মার্কেট, সুশীলা মার্কেট সহ বিভিন্ন কাপড় দোকান, স্টেশনারি, মোবাইল, জুয়েলারি, হার্ডওয়্যার, ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্সসহ বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পরে।
এদিকে লকডাউনে সরকারি বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে চান্দিনা পৌরসভার একমাত্র পশুর হাটটিতেও পাইকার এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।
লকডাউনের মধ্যে সব কিছু খোলা থাকায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সচেতন মহল। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে কার্যত চান্দিনায় কোন লকডাউন নেই।
এদিকে, প্রতিদিন চান্দিনায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কা জনক হারে বেড়ে চলছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সর্বোচ্চ  ৪৪জন, সোমবার (২৬ জুলাই) চান্দিনায় ৪০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। গত শুক্র, শনি ও রবিবার ৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মৃত্যু বরণ করে এই উপজেলায়। পৌর এলাকায় রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই এলাকাটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামস্উদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন- ’মানুষ পুলিশের সাথে লুকোচুরি খেলছে। পুলিশ পূর্ব বাজারে গেলে পশ্চিম বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে। আবার পশ্চিম বাজারে গেলে পূর্ব দিকের ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয়। আমরা অনেক চেষ্টা করেও মানুষকে সচেতন করতে পারছি না।’ আমাদের দুটি টিম মোবাইল কোর্টের সাথে কাজ করছে। আমার সাথে একটি টিম নিয়ে আমরা লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছি।
এব্যাপারে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব এবং চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান বলেন- ’এভাবে সব খোলা থাকলে জন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। সংক্রমণ বাড়বে।
আপনাদের মধ্যে কি সমন্বয়হীনতা আছে কিনা ? জানতে চাইলে তিনি বলেন- ’উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি সহ সবাই মিলে কাজ করতে হবে। আমার হসপিটালে ৩জন নার্স, ডাক্তারসহ বেশ কয়েকজন আক্রান্ত। সংক্রমণ বাড়লে চিকিৎসা সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হবে।’
উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক ও চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুন নাহার এর সরকারি নম্বরে ফোন একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।