ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
চৌদ্দগ্রাম কাশিনগরে ভূমিহীন ও গৃহহীন ১১টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর
Published : Sunday, 1 August, 2021 at 12:00 AM, Update: 01.08.2021 12:36:34 AM
চৌদ্দগ্রাম কাশিনগরে ভূমিহীন ও গৃহহীন ১১টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তরমুজিববর্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন সব অসহায় মানুষকে নতুন ঘর উপহার দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন এর আওতায়  কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মো: মুজিবুল হক এমপি’র দিকনির্দেশনায়  ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে  উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নে সুবিধাভোগিদের মাঝে ঘর ১১টি পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়।
 এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে লটারির মাধ্যমে হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করেন কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান আলহাজ্ব  মো: মোশারেফ হোসেন।
ঘর হস্তান্তরকালে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব  মো: মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘ দেশে প্রায় তিন লক্ষ পরিবার এই ঘর পেয়েছে। এই ঘর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ঘর, এই  ঘর  ইচ্ছার ঘর, ঘর গুলোকে আপনারা যতœ নিবেন, সুন্দর ভাবে রক্ষণাবেক্ষন করবেন। আপনারা আজ আর ভূমিহীন না, আজ আপনারা ঘরের মালিক।  প্রধানমন্ত্রী ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক রেলপথ মন্ত্রী প্রিয় নেতা মো: মুজিবুল হক এমপি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা  জানাই, উনাদের জন্য  আপনারা সবাই দোয়া করবেন'।
৭ নং ওয়ার্ড ইউ'পি সদস্য আলী আশ্রাফের সভাপতিত্বে আরোও উপস্থিত ছিলেন, কাশিনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম, কৃষকলীগের সভাপতি ঈসমাইল হাজারী, কাশিনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মাস্টার মমিনুল ইসলাম,  কাশিনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের  সভাপতি কাজী আবুল কালাম, উপদেষ্টা মুন্সী আব্দুল সাদেক, সাধারণ সম্পাদক  মো: দুলাল হোসেনসহ  ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপকারভোগী আইয়ুব আলী বলেন, 'কাজের মানে আমরা সন্তুষ্ট। ঘরের ভীত শক্ত হওয়ায় ঘর ভেঙ্গে পরার কোন সম্ভাবনা নেই। ঘরগুলোতে আমরা খুব সুন্দর ভাবে বসবাস করতে পারবো। আমরা আজ অনেক খুশি'।
নতুন ঘর পেলে রহিমা বেগম বলেন স্বামীর জায়গা নাই,ঘরও নাই বাপের বাড়িতে থাকতাম, শেখ হাসিনা ঘর দিসে আর বাপের বাড়িতে থাকতে হবে না
লটারি শেষে ওই ইউনিয়নে নির্মাণ হওয়া ১১ টি ঘর বুঝে দেওয়া হয়। ঘর ও জমি পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন উপকারভোগী পরিবারগুলো।