Published : Sunday, 1 August, 2021 at 12:00 AM, Update: 01.08.2021 12:36:48 AM
কুমিল্লায়
প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সেই সাথে দেখা দিয়েছে
অক্সিজেন সংকট । এমন অবস্থায় আবারো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে করোনা
আক্রান্তদের পাশে দাড়ালেন বিসিবির কাউন্সিলর ও কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট
কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম রনি।
শুক্রবার সকালে কুমিল্লা মহানগরীর
তালপুকুরপাড়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগ্রত মানবিকতার সাধারণ সম্পাদক তাহসিন
বাহার সূচনা ১০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো গ্রহণ করেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
জাগ্রত মানবিকতার মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো করোনা আক্রান্তদের কাছে
পৌছে দেয়া হবে।
বিসিবির কাউন্সিলর ও কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট কমিটির
সভাপতি সাইফুল আলম রনি জানান, কুমিল্লায় প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত ও মৃতের
সংখ্যা বাড়ছে। অক্সিজেনের অভাবে অনেক রোগী মারা যাচ্ছে। বিষয়টি খুব
বেদনাদায়ক। গত ১ জুলাই আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৩০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার
হস্তান্তর করেছি। এখন আবার করোনার সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় আরো ১০ টি সিলিন্ডার
হস্তান্তর করেছি। ১০ টি সিলিন্ডারের মধ্যে ৫ টি সিলিন্ডার দিয়েছেন
কুমিল্লা ক্রিকেট কমিটির সহ-সভাপতি মোস্তফা হেলাল কবির। যদি প্রয়োজন পড়ে
আরো অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ করবো।
কুমিল্লা ক্রিকেট কমিটির সহ-সভাপতি
মোস্তফা হেলাল কবির বলেন, অতিমারি করোনার প্রাদুর্ভাবে যারা অসুস্থ হয়েছেন
তাদের জন্য সবার এগিয়ে আসা উচিৎ। সেই দায়িত্ববোধ থেকে অক্সিজেন সাপোর্ট
নিয়ে আমরা করোনার রোগীদের পাশে দাড়িয়েছি।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগ্রত
মানবিকতার সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট কমিটির
সভাপতি সাইফুল আলম রনি ও সহ-সভাপতি মোস্তফা হেলাল কবিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা
জ্ঞাপন করছি।
তাহসিন বাহার সূচনা আরো বলেন, জাগ্রত মানবিকতা সবোর্চ্চ
অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়ে বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। করোনার অতিমারি
শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য অক্সিজেন সরবরাহ
করেছি। কুমিল্লা এখন করোনা আক্রান্তে সারা দেশে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। খুব
স্বাভাবিকভাবে এখন দিতন রাত করোনা আক্রান্ত রোগীর স্বজনদের ফোন আসে। আর
এদিকে ফোন পাওয়া মাত্রই জাগ্রত মানবিকতার ভলিন্টিয়াররা হাসিমুখেই করোনা
রোগীদের পাশে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে হাজির হন।
ভলিন্টিয়ারদের প্রতি
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তাহসিন বাহার সূচনা আরো বলেন, এখন সবাইকে সচেতন হতে
হবে। সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তবেই করোনা
নিয়ন্ত্রনে আসবে।