প্রায় চার বছর পর বাংলাদেশ সফরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। খেলবে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি। যদিও ওয়ার্নার, ফিঞ্চ, ম্যাক্সওয়েলের মতো দলটির প্রথম সারির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারই আসেননি।
অবশ্য বাংলাদেশ দলেরও একই অবস্থা। খেলছেন না তামিম, লিটন ও মুশফিক। গোড়ালির চোট বাড়ার আশঙ্কায় অনুশীলনে ফুটবল খেলায় দেখা যায়নি পেসার মোস্তাফিজকে।
তামিমের অনুপস্থিতির জন্য চোট দায়ী হলেও মুশফিক-লিটনের বেলায় বিষয়টি ভিন্ন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) আপত্তিতেই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন তারা।
এতে প্রচণ্ড হতাশ হয়েছেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
বিশেষ করে মুশফিকের বেলায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এমন আচরণের যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না ডমিঙ্গো।
তিনি বলেন, ‘মুশফিককে জৈব সুরক্ষা বলয়ে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অদ্ভুত সিদ্ধান্তের যুক্তি আমি খুঁজে পাইনি। ১০ দিন কোয়ারেন্টিন যথেষ্ট ছিল। এটা নিয়ে অনেক হতাশ আমি।’
উল্লেখ্য, জিম্বাবুয়ে সফরে থাকাকালে বাবা-মা করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলে দেশে চলে আসেন মুশফিক।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) শর্ত মোতাবেক, তাদের দল ঢাকায় পা রাখার অন্তত ১০ দিন আগে সিরিজ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকতে হবে। যা ওই পরিস্থিতিতে পারেননি মুশফিক। তবে বাবা-মা অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠলে নির্ধারিত সময়ের ২-৩ দিন পর মুশফিক কোয়ারেন্টিন শুরু করতে প্রস্তুত ছিলেন।
কিন্তু অস্ট্রেলিয় হেলথ প্রটোকল টিম মুশফিককে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার বার অনুমোদন দেয়নি। ফলে সিরিজ থেকে ছিটকে যান মুশফিক।
বিষয়টি মোটেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশ কোচ ডমিঙ্গো। তার মতে, মুশফিক যখন থেকে কোয়ারেন্টিনে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত নিয়েছিল, সেই সময়টা যথাযথ ছিল। তখন জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করলেও ১০ দিন কোয়ারেন্টিন করতে পারতেন মুশফিক।