Published : Monday, 2 August, 2021 at 12:00 AM, Update: 02.08.2021 12:27:33 AM
আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) আসলে রোগীর জন্য ডেথ বেড। আইসিইউতে গেলে রোগী সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় বলে জানিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ বি এম মাকসুদুল আলম। রবিবার (১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিন অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সেখানে ‘তাই আমরা সাধারণত এগুলো অ্যাভয়েড করি’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে যায় তাদের আউটকাম খুবই কম।
করোনাতে দেশে যত রোগী সংক্রমিত হয় তাদের অধিকাংশেরই অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না এবং হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে কারও কারও অক্সিজেন দরকার হয় জানিয়ে অধ্যাপক মাকসুদুল আলম বলেন, তাদের এক শতাংশের আইসিইউ দরকার হয়। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আইসিইউ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।
তিনি বলেন, আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজন হলে তারা অক্সিজেনের ব্যবস্থা করবেন। অনেকেই ভয় পান। সাধারণ চিকিৎসায় এই রোগ ভালো হয়।
আমরা একটি অতিমারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই অতিমারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে। হাসপাতালের সক্ষমতা বেড়েছে, সঙ্গে শয্যা সংখ্যাও।
‘কিন্তু আমরা যদি সংক্রমণ কমাতে না পারি, এই সক্ষমতা আমাদের কাজে লাগবে না’।
করোনা চিকিৎসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১৫ ভাগ হাসপাতালে ভর্তি হয়। জটিল অবস্থায় অনেকের অক্সিজেন দরকার হয়। অক্সিজেন এক ধরনের ওষুধ, এটি অপ্রয়োজনীয় বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করলে ক্ষতি হয়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আজ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৫৯৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১০৮ জনের এইচডিইউ ও আইসিইউ সাপোর্ট লেগেছে।
আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানি, সংক্রমণ কমাতে না পারি, হাসপাতালে যেভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে শয্যা বাড়িয়ে কিংবা চিকিৎসা সরঞ্জাম বাড়িয়ে সংকুলান করা যাবে না। নিয়ম মেনে না চললে আমাদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাবে বলেন মাকসুদুল আলম।