করোনা নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও পাঁচদিন বাড়িয়ে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত করেছে সরকার। তবে পরদিন ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধে কিছু পরিবর্তন আসবে।
মঙ্গলবার সরকারের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে জানানো হয়, ১০ আগস্টের পর বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল হয়ে যাবে। ১১ আগস্ট থেকে সবকিছুই খোলা থাকবে। তবে তা সীমিত পরিসরে।
সেই হিসাবে ১১ আগস্ট থেকে গণপরিবহণ, দোকানপাট, শপিংমল, সরকারি-বেসরকারি অফিস ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খুলবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধই থাকছে। সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
তবে ১১ আগস্টের পর টিকা না নিয়ে কেউ কোনো কর্মস্থলে যেতে পারবেন না। টিকা নেওয়া ছাড়া বাইরে ঘোরাফেরা করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। মাস্ক না পরলে পুলিশ জরিমানা করতে পারবে। এছাড়া গণপরিবহণে যাতায়াতে টিকা গ্রহণের সনদ সঙ্গে রাখতে হবে। গণপরিবহণ চলবে রোটেশন পদ্ধতিতে।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ৭ আগস্ট থেকে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মোট ১৪ হাজার কেন্দ্রে এক যোগে গণটিকাদান শুরু হবে। সাত দিনে প্রায় এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এই টিকায় বয়স্ক মানুষ অগ্রাধিকার পাবেন। একই সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষ, দোকানদার ও গণপরিবহনের কর্মীদের নিজ নিজ ওয়ার্ড থেকে টিকা নিতে হবে।
তিনি বলেন, টিকা না নিয়ে কেউ দোকান খুলতে পারবেন না বা বাইরে বেরোতে পারবেন না। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা বাইরে চলাফেরা করবেন, তারা টিকা না নিয়ে চললে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন দেয় সরকার। সেই লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হবে।
বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা।
তবে ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলছে। বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।