চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় স্বামীর লাশ দুই দিন ঘরে আটকে রাখে স্ত্রী। করোনা উপসর্গে মৃত্যু হওয়ায় সে মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রেখেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
মৃত ব্যক্তি হাজীগঞ্জ বাজারের ডিগ্রি কলেজ রোডের জমিদার বাড়িতে বসবাস করতেন। তার নাম সুভাষ চন্দ্র দাস (৬৫)।
দুই দিন ধরে লাশ ঘরে রাখার পর মঙ্গলবার সকালে ওই লাশটি সৎকার করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন তপদার জানান, শনিবার হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ রোডের একটি বাসায় সুভাষ চন্দ্র দাস মারা যায়। মৃত্যুর পর ঘটনাটি তার স্ত্রী বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় দুই দিন ধরে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখে। পরে সোমবার বিকালে পার্শ্ববর্তীরা বিষয়টি টের পেয়ে ঘরের দরজা খুলতে জোর চেষ্টা চালায়। দরজা খুললে মিলে সুভাষের লাশ। পরে হাজীগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশীদ, পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহীম খলিল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, মৃতব্যক্তি করোনা উপসর্গে মারা যান। কিন্তু জানাজানি হলে সমস্যা হতে পারে এমন ভয়ে তার স্ত্রী লাশ নিয়ে দুই দিন দরজা আটকে ঘরে বসেছিল। তবে ওই নারী মানসিক প্রতিবন্ধী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ওই এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে ২৭ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি আছে বলে নিশ্চিত করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।