Published : Wednesday, 18 August, 2021 at 12:00 AM, Update: 18.08.2021 1:10:45 AM
বশিরুল ইসলাম: শাহাজান মিয়া
২ছেলে স্ত্রী ও মাকে নিয়ে থাকেন নগরীর সাতরা এলাকায়। দীর্ঘ ১৫ বছর
দিনমজুরের কাজ করেন। ভোর ৬টায় কান্দিরপাড় টাউনহল গেইটের সামনে এসেছেন কাজ
পাওয়ার আশায় এখন বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা। কেউ কাজে নিতে আসনা। তাই
দুশ্চিন্তায় আছেন। দেশে করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ার পর থেকে দিন ভালো
কাটছেনা। এর আগে অনেক কাজ ছিল ভালোই কামাইতেন। এখন আগের মত আর কাজ পাননা।
অপেক্ষা করবেন বেলা ১টা পর্যন্ত । যদি কেউ কাজের জন্য নিতে আসে তাহলে যাবেন
আর নয়তো বাসায় ফিরে যাবেন। কিন্তু বাসায় গিয়েও কি হবে কাজ পেলেই খুশি।
তিনি জেলার চান্দিনা থানার গল্লাই এলাকার হারুন মেম্বারের পুত্র।
মঙ্গলবার ১৭ আগস্ট কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউনহলের সামনে এসব দৃশ্য চোখে পড়ে এবং তাদের সাথে বলে এসব তথ্য জানা যায়।
জানা
যায়, এরকম চাঁদপুর হাজীগঞ্জের সিদ্দিকুর রহমান, দেবিদ্বার শুবিল ফতেহা
বাদের মিন্টু চন্দ্র দাশসহ প্রতিদিন প্রায় ৬ থেকে ৭হাজার দিনমজুর এখানে
কাজের সন্ধানে আসেন । তারা জানান, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস তছনছ করে দিয়েছে
তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশে যখন
লকডাউন চলছিল তখন তাদের কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। এখন করোনা ভাইরাসের
প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমলেও কাজের চাহিদা তেমন বাড়েনি। দিন এনে দিন খাওয়া এ
মানুষগুলো এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন। বাজারে কাজের চাহিদা কমে যাওয়ায়
জীবিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
দিনমজুর মন্টু চন্দ্র দাশ বলেন,
সকাল সাড়ে ৬টায় এখানে কাজের খুজে এসেছেন। এখন বেলা ১১টা। কেউ কাজে নিতে
আসেনি। যদিও দু একজন আসেন তাহলে সকলে মিলে কাজে যেতে ঐ ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে।
অনেক দরকষাকষি করে তারপর কাজে যেতে হয়। করোনার পুর্বে যে চাহিদা ছিল এখন
আগের মত চাহিদা নেই, চাহিদা অনেকটা কমে গিয়েছে। করোনা ভাইরাসের শক্তি কমে
গেলে আর মানুষ অসুস্থ্য না হলে হয়তো কাজের চাহিদা বাড়তে পারে বলে আশা এই
দিনমজুরের।
হাজীগঞ্জের সিদ্দিকুর রহমান জানান, কাজ নেই কাজের অপেক্ষায়
আছি। কাজ পেলে কাজে যাব। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কমবেশি লোক কাজের সন্ধানে
এখানে আসে। রংপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ, ময়মনসিংহ, গাইবান্ধা, সিলেট, বরিশাল ও
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার লোক কাজের সন্ধানে আসে। তবে রংপুরের ও
চাপাইনবাবগঞ্জের লোক বেশি। কুমিল্লার লোক কম।