রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় দলটির ২৫ নেতাকর্মীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আর ২০ জনের রিমান্ড নামঞ্জুর করেন।
এর আগে ব্ধুবার (১৮ আগস্ট) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর শেরেবাংলা নগর থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে একটি ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ দুটি মামলা করে।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সী বলেন, মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাতে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে। এরপর মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আরও দুটি মামলা করে।
তিনি বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি ও আমিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্য আহত হন। এই তিন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় ৪০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে। এছাড়াও শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি ছিল। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে তারা চন্দ্রিমা উদ্যানের পূর্ব পাশে জমায়েত হতে থাকেন।
এরপর তারা উদ্যানের ভেতর প্রবেশ করতে চাইলে উপস্থিত পুলিশের সদস্যরা বাধা দেন। পুলিশ জানায়, ভেতরে প্রবেশের অনুমতি নেই। তখন জোর করে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রবেশ করতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন পুলিশ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরাও পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
এতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।