ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বঙ্গবন্ধু হত্যার সত্য ইতিহাস সামনে আসুক
Published : Thursday, 19 August, 2021 at 12:00 AM
বঙ্গবন্ধু হত্যার সত্য ইতিহাস সামনে আসুক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, যারা পাশে ছিল, যারা ত্রে প্রস্তুত করে দিয়েছে সবাই সমানভাবে দোষী। কারা এর পেছনে জড়িত ছিল, সেটিও একদিন বের হবে। সেই দিন বেশি দূরে নয়। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত জরুরি একটি কথা জাতির সামনে তুলে ধরেছেন। বলা হয় যে সামরিক বাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণ দিতে হয়েছিল। কিন্তু এর নেপথ্যে একটি অপশক্তি কাজ করেছে। নির্মম এই হত্যাকা-ের পেছনে একটি ষড়যন্ত্র ছিল, সেই ষড়যন্ত্রকারী কারা, তাদের অন্ততপে চিহ্নিত করে সারা দেশের মানুষের কাছে নামটি জানিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। আইনমন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কমিশন গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কমিশনের রূপরেখা ও কার্যাবলি ঠিক করে কমিশন গঠন করা হবে।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজে হাত দিয়েছিলেন। ষড়যন্ত্র সেই ১৯৭২ সাল থেকেই শুরু। একেবারে পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভক্তি করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র জমা দিলেও পরাজিত শক্তি রাজাকার-আলবদরদের অস্ত্র কোথায় গেল? পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর, যারা বড় বড় নেতা ছিল, তারা তো অনেকেই পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়ে গেছে। যারা এ দেশে ছিল তাদের পরিচয় তো সবার জানা দরকার। যুদ্ধ-পরবর্তীকালে কোথায় ছিল তারা? তাদের কারা আশ্রয় দিয়েছিল। তাদের পেছনে কোনো রাজনৈতিক শক্তি ছিল কি না এসব বিষয় নতুন প্রজন্মের কাছেও উন্মোচিত হওয়া দরকার।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল। সেই ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীর মুখোশ উন্মোচন এখন সময়ের দাবি। জাতির জানতে হবে কে বা কারা এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে ছিল। কারা খুনিদের রা করেছিল, পুরস্কৃত করেছিল, কেন করেছিল সবই জানতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা শুধু একজন মানুষকে হত্যা করা নয়। একটি আদর্শকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি জাতিকে আবার পাকিস্তানি আদর্শের দিকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। সব মিলিয়ে জাতীয় পরিচয় মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র ছিল সেটি। আর সে কারণেই নেপথ্যের সব ঘটনা জানা দরকার।
একটি স্বাধীন কমিশনই পারে সেই ষড়যন্ত্র উন্মোচন করতে। আমরা চাই ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হোক। সত্য ইতিহাস সবার সামনে আসুক।