আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের জন্য তুরস্ককে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র সোহাইল শাহিন।
তিনি তুরস্কের সরকারপন্থি দৈনিক ‘তুর্কিয়া’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। তালেবান মুখপাত্র বলেন, আমাদের সব অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা আফগানিস্তানের প্রতিটি অঞ্চলের পুনর্গঠন করব। এ ব্যাপারে আমাদের তুরস্কের সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
তালেবানের এ মুখপাত্র আরও বলেন, তুরস্ক আমাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। বিশ্বের একটি নির্ভরযোগ্য ও শক্তিশালী দেশ তুরস্ক। মুসলিম বিশ্বেও তুরস্কের বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ককে অন্য কোনো দেশের সঙ্গে তুলনা করা চলে না।
এর আগে কাবুল দখলের একদিন পর গত ১৬ আগস্ট এক সাক্ষাৎকারে সোহাইল শাহিন বলেছিলেন, তুরস্ক আমাদের কাছে একটি ভ্রাতৃপ্রতীম ইসলামি দেশ হিসেবে বিবেচিত।
এর পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ১৯ আগস্ট তালেবানের সঙ্গে সংলাপে বসার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, তিনি হয়তো অচিরেই তালেবান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এর আগে ন্যাটোর সদস্য দেশ হিসেবে গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে তুর্কি সেনা মোতায়েন ছিল। কিছু দিন আগে এরদোগান বলেছিলেন— তার দেশের সেনারা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
তুরস্কের পক্ষ থেকে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করার প্রস্তাব সম্পর্কে তালেবান তখন আঙ্কারাকে উদ্দেশ করে বলেছিল— আফগানিস্তানে যে কোনো বিদেশি সেনাকে ‘শত্রুসেনা’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।