টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বরাবরই অনুপস্থিত দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেননি তামিম। এর পর জিম্বাবুয়ে সফরেও ওয়ানডে সিরিজ শেষে টি-টোয়েন্টি না খেলে দেশে ফেরেন ড্যাশিং এই ওপেনার।
সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।
সামনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও নেই তামিম। সব মিলিয়ে তামিম দেশের সর্বশেষ ১১টি টি-টোয়েন্টিতেই দলের বাইরে।
জানা গেছে, হাঁটুর পুরনো চোটের কারণে আপাতত বিশ্রামে আছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক।
যে কারণে সংশয় জেগেছে, অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তামিম ইকবাল খেলবেন কি?
এ ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চয়তা না দিতে পারলেও বিশ্বকাপে তামিমের অংশগ্রহণ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন বিসিবির পরিচালক আকরাম খান। বললেন, ‘তামিম দেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। সে যদি ফিট থাকে অবশ্যই খেলবে। ডাক্তার, ফিজিও ও নির্বাচকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সে। এটা নিয়ে আমরাও সজাগ দৃষ্টি রাখছি। আশা করছি ঠিক সময়ে সুস্থ হয়ে উঠবে সে।’
বিশ্বকাপের আগে ফিটও হয়ে উঠলে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও যথাযথ অনুশীলনের বিষয়টি থেকেই যায়।
এতদিন ধরে খেলার বাইরে থেকে বিশ্বকাপ মঞ্চে নামা কি ঠিক হবে তামিমের?
জবাবে আকরাম খান বলেন, ‘না, আমি এতে কোনো সমস্যা দেখছি না। তামিম প্রতিষ্ঠিত ও দলের সেরা ব্যাটসম্যান। সে ফিট থাকলে কোনো চিন্তার বিষয় নয়। ও থাকলে আমাদের জন্য তো ভালো।’
জানা গেছে, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ আগে ওমানে যাবে বাংলাদেশ। প্রথম রাউন্ডে ম্যাচগুলো ওমানেই খেলবে তারা। সুপার-১২-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করলে পরবর্তী সময় দুবাই যাবে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে আকরাম খান বলেন, ‘এটা নিশ্চিত যে আমরা অন্তত এক সপ্তাহ আগে ওমানে যাব। সেখানে কিছু অনুশীলন ম্যাচ রয়েছে। অবশ্য তা চূড়ান্ত হয়নি।’
আগামী ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রথম দিনে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। ১৯ অক্টোবরে টাইগারদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ওমান। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ হবে ২১ অক্টোবর। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে খেলে যোগ্যতা অর্জন করে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠায় আশাবাদী মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।