আফগানিস্তান পুরোদস্তুর তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দেশটির নাগরিকদের জন্য বেদনাদায়ক, বিপদের ও অপ্রয়োজনীয় বললেন তিনি। এ সিদ্ধান্তকে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় বলেও মনে করেন যুক্তরাজ্যের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। খবর বিবিসির।
নিজের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন টনি ব্লেয়ার। সেখানেই এসব কথা বলেন তিনি ।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সেনা প্রত্যাহারের ঘটনা ‘জিহাদি সংগঠনগুলোর জন্য উল্লাসের’ বলেও উল্লেখ করেন টনি ব্লেয়ার। আফগান দোভাষীদের তালেবানের হাত থেকে নিরাপদে সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সেনাদের দেশটিতে অবস্থান করার কথাও বলেন তিনি।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনার পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকানোর অভিযোগ তুলে আফগানিস্তানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র রাষ্ট্রগুলো। মিত্রদের মধ্যে ছিল যুক্তরাজ্যও। সে সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন টনি ব্লেয়ার।
২০ বছর ধরে চলা তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সেই যুদ্ধে নিহত হয়েছেন বহু মানুষ। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ভেঙে পড়েছে আফগানিস্তানের অর্থনীতি। কয়েক বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের দোহায় তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেন। গত এপ্রিলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট তারই ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তানে চলা ২০ বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে ঘোষণা দেন মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের।