কিলিয়ান এমবাপের ইস্যুটা বেশ জমজমাট হয়ে উঠলো ইউরোপিয়ান দলবদলের শেষ সপ্তাহে এসে। আর মাত্র কয়েকদিন বাকি দলবদল শেষ হতে। তার আগে ফরাসী এই ফুটবলারকে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ আর পিএসজির মধ্যে চলছে তুমুল দরকষাকষি।
এমনিতেই এমবাপেকে ধরে রাখা যাবে না, এ সত্যটা উপলব্দি করে ফেলেছে পিএসজি। যে কারণে তারা ঘোষণা দিয়েছে, বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার যদি থাকতে না চায়, তাহলে তার যাওয়ার পথে বাধা প্রদান করবে না তারা। তবে, পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিওনার্দো বলে দিয়েছেন- এমবাপে যেতে চাইলে যাবে, তবে সেটা পিএসজির শর্ত মেনেই।
কী সেই শর্ত? লিওনাদো তখনই বলেছিল- রিয়াল মাদ্রিদ এমবাপেকে কেনার জন্য যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেটাকে যথেষ্ট মনে করছে না পিএসজি। রিয়াল মাদ্রিদ ১৬০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু লিওনার্দো বলে দিয়েছেন- ‘আমরা তো এমবাপেকে কিনেছিই (মোকানো থেকে) ১৮০ মিলিয়ন দিয়ে (১৮০০ কোটি টাকা)।’
তো এমবাপের জন্য কত চায় পিএসজি? স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কার রিপোর্ট- এমবাপেকে পিএসজি বিক্রি করবে ২২০ মিলিয়ন ইউরো তথা ২ হাজার ২০০ কোটি টাকায়। ফরাসি পত্রিকা লে পেরেসিয়ানের বরাত দিয়েই এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কা।
২০১৭ সাল থেকে চার বছর পিএসজিতে কাটিয়েছেন এমবাপে। তার সঙ্গে প্যারিসের ক্লাবটির চুক্তির মেয়াদ বাকি আর এক বছর। পিএসজি মনে করছে, ২২ বছর বয়সী এমবাপেকে এখন লস দিয়ে বিক্রি করার কোনো মানে হয় না। বরং, তাকে বিক্রি করতে হবে লাভেই। সে কারণেই লে পেরিসিয়ান পিএসজি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সঠিক সংখ্যাটা জেনে নিয়েছে। তারা ২২০ মিলিয়নের কম হলে বিক্রি করবে না এমবাপেকে।
২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে কিনে নিতে পিএসজি খরচ করেছিল ২২২ মিলিয়ন ইউরো। এমবাপের জন্য তার চেয়ে মাত্র ২ মিলিয়ন ইউরো কম মূল্য কম হাঁকলো পিএসজি। এখন দেখার বিষয়, কতদুর এগোয় এই দর কষাকষি। আবার যদি চুক্তি নবায়ন না করে তাহলে এক মৌসুম পর তো এমবাপের জন্য আর কোনো ট্রান্সফার ফি’ই পাবে না পিএসজি। এ বিষয়টাও মাথায় রাখছে প্যারিসের ক্লাবটির কর্মকর্তারা।