Published : Thursday, 26 August, 2021 at 12:00 AM, Update: 26.08.2021 1:19:14 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: জাল জালিয়াতি করে পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বিক্রিসহ নানা
ধরনের প্রতারণার অভিযোগে বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাকের ছেলে খন্দকার
ইশতিয়াক আহমেদ বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে কুমিল্লা
আদালত। বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লার ৩নং আমলী আদালতের সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: গোলাম মাহবুব খাঁন এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
করেন। এ সময় আদালত ইশতিয়াককে গ্রেফতার করতে দাউদকান্দি থানা পুলিশকে
নির্দেশ প্রদান করেন। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী
এডভোকেট ইফতেখার আহমেদ।আদালত সূত্রে জানা গেছে, খন্দকার মোশতাক
আহমেদের বাবা খন্দকার কবির উদ্দিন আহমেদের পাঁচ ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। মোশতাকের
ছেলে খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ তাঁর দাদা খন্দকার কবির উদ্দিন আহমেদ ট্রাস্ট,
বাড়ি ও মাজার দখল করে আছেন। একই সঙ্গে বাড়ির অন্য ওয়ারিশদের সম্পত্তি দখলে
রেখে এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করেন। কানাডা থেকে তিনি সন্ত্রাসী দিয়ে
বাড়ির অন্য সদস্যদের হয়রানি করছেন ও সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করছেন। বেশ কিছু
সম্পত্তি জাল দলিল ও ভুয়া স্বাক্ষরে বিক্রি করে দিয়েছেন।
এ অবস্থায় ২০২০
সালের ডিসেম্বরে সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা ও এস্টেটের উত্তরাধিকারীর
অংশীদারত্ব পেতে কবির উদ্দিনের ওয়ারিশ খন্দকার জাবির আহাম্মেদ সারোয়ার একটি
মামলা দায়ের করেন। এতে মোশতাকপুত্র খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, নাতি ইফতেখার
আহমেদ শাদ ও কেয়ারটেকার নিজামুদ্দিনকে আসামি করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার বাদী খন্দকার জাবির আহাম্মেদ সারোয়ার অভিযোগ করে বলেন, খুনি মোশতাকের ছেলে খন্দকার ইশতিয়াক আমাদেরকে ন্যায্য হিস্যা
থেকে বঞ্চিত করছেন। তিনি কানাডায় বসে দশপাড়া এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রন করছেন। আমাদের ওয়ারিশদের স্বাক্ষর জাল করে
বেশ
কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেছেন। এছাড়া আরো কিছু সম্পত্তি বিক্রির পাঁয়তারা
করছেন। তার নির্দেশে এসব জালিয়াতির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মোশতাকের বাড়ীর
কেয়ারটেকার নিজামুদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, কেয়ার টেকার নিজামুদ্দিনই
মোশতাক পুত্রের সকল নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে থাকেন। কানাডায় বসে ওই কেয়ার
টেকারের মাধ্যমেই বাহিনী নিয়ন্ত্রনসহ এলাকার আধিপত্য ধরে রেখেছেন মোশতাক
পুত্র ইশতিয়াক।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা
যতটুকু জানি মামলায় অভিযুক্ত আসামি খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু বিদেশে
পালাতক আছেন। তার পরেও গ্রেফতারী পরোয়ানার কপি হাতে পেলে উর্ধ্বতন
কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।