গত জুলাইয়ে কোপা আমেরিকা খেলতে গিয়ে ব্রাজিলিয়ান দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন মেসি। এমনকি কোপার ফাইনাল ম্যাচে শুধুমাত্র মেসির জন্য আর্জেন্টিনার সমর্থন দিয়েছেন অনেক ব্রাজিলিয়ান সমর্থক। দুই মাস পর আবার ব্রাজিলে খেলতে গিয়ে ভালোবাসার আরেক ঘটনা দেখলেন মেসি।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে বর্তমানে ব্রাজিলেই রয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। রোববার বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ১টায় করিন্থিয়াস এরেনায় মুখোমুখি হবে দুই দল। এ রাগে শনিবার ব্রাজিলিয়ান সময় রাতে অনুশীলন শেষ করে হোটেলে ফেরার সময় এক স্থানীয় কিশোরের দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন মেসি।
আর্জেন্টিনা দল যখন মাঠ থেকে হোটেলে ফিরছিল, তখন হোটেলের সামনে আগে থেকেই ছিল ভক্ত-সমর্থকদের ভিড়। টিম বাস থেকে নেমে হোটেলে ঢোকার আগে ছোট প্যাসেজ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মেসি। ঠিক তখনই নিরাপত্তাকর্মীদের কড়া প্রহরা ভেদ করে মেসির দিকে দৌড় শুরু করেন এক কিশোর।
তবে পুরোপুরি মেসির সামনে যেতে পারেননি ১২ বছর বয়সী রোজারিও নামের সেই ছেলে। নিরাপত্তাকর্মীদের ঘোল খাওয়ানোর জন্য ফুটবল মাঠে ড্রিবল করার মতো আঁকাবাঁকা পথে দৌড় দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সফর হননি। মেসির কাছে পৌঁছানোর আগেই তাকে ধরে ফেলে নিরাপত্তাকর্মীরা।
পুরো ঘটনা চোখের সামনেই দেখছিলেন মেসি। যখন নিরাপত্তাকর্মীরা রোজারিওকে ধরে ফেলে, তখন মেসি নিজেই এগিয়ে যান সেদিকে। সেই ছেলের সঙ্গে সেলফিও তোলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মেসিকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ১২ বছর বয়সী রোজারিও।
পরে মেসির সঙ্গে তোলা সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেছেন রোজারিও। তিনি লিখেছেন, ‘একটা স্বপ্ন সত্য হলো। আমি বেষ্টনী টপকে মেসির মতোই ড্রিবল করে গিয়েছি। আমি ম্যারাডোনার মতোই উচ্ছ্বসিত ছিলাম এবং জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন পূরণ করলাম।’
শুধু সেলফিই নয়, মেসির কাছে যাওয়ার দুঃসাহসিক যাত্রার ভিডিও ক্লিপও ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেছেন রোজারিও। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘এবং সেই ড্রিবল... হাহাহা!।’