ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ভেঙে গেল শিখর-আয়েশার ৯ বছরের সংসার
Published : Wednesday, 8 September, 2021 at 1:24 PM, Update: 08.09.2021 1:35:15 PM
ভেঙে গেল শিখর-আয়েশার ৯ বছরের সংসারছেলে জোরাবর ও স্ত্রী আয়েশাকে নিয়ে সুখের সংসার পেতেছিলেন ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ানের।  কিন্তু সেই সংসার টিকল না ৯ বছরও।

বিচ্ছেদ হয়ে গেছে শিখর ধাওয়ান ও আয়েশা মুখার্জি দম্পতির। ভারতীয় ওপেনার এ বিষয়ে কিছু জানাননি।  তবে তার স্ত্রীর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন।  আয়েশার ইনস্টাগ্রামের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই (এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল) জানায়, স্ত্রীর সঙ্গে ধাওয়ানের বিবাহবিচ্ছেদের খবর।

২০১২ সালে মেলবোর্নের কিক-বক্সার আয়েশার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ধাওয়ান।  এর আগে আস্ট্রেলিয়ার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আয়েশার।  তার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই ধাওয়ানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন আয়েশা।  আগের পক্ষের দুই মেয়েকেই ধাওয়ান নিজের কন্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেন।  আয়েশা-ধাওয়ানের প্রায় ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে এক সন্তান পৃথিবীর আলো দেখে।   

বিচ্ছেদ ঘোষণায় আয়েশা ইনস্টায় এক আবেগঘন বার্তায় লিখেছেন— ‘আমার একসময় মনে হতো বিচ্ছেদ একটা খুব খারাপ শব্দ।  তবে দ্বিতীয়বারের মতো একই ঘটনা ঘটার পর আর তা মনে হচ্ছে না।  প্রথমবার যখন এটি হলো, আমি বেশ ভয় পেয়েছিলাম।  মনে হচ্ছিল— আমি বোধহয় কিছু ভুল করে ফেলেছি।  নিজেকে স্বার্থপর মনে হচ্ছিল।  মনে হয়েছিল বাবা-মায়ের সম্মান নষ্ট করছি।  বিচ্ছেদ এতটাই খারাপ শব্দ বলে মনে হতো তখন।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘তা হলে একবার ভাবুন, দ্বিতীয়বারের মতো এর মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাকে।  ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।  এরই মধ্যে একবার বিয়ে ভাঙায়, দ্বিতীয়বার আরও বেশি দায়িত্ব ছিল আমার কাঁধে। আমাকে আরও বেশি কিছু প্রমাণ করতে হতো।  দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ে ভেঙে যাওয়া সত্যিই ভয়াবহ অনুভূতি।  মনে হচ্ছিল— দ্বিতীয়বারও আমি পারলাম না।  ভয়, ব্যর্থতা, হতাশা... এসব ১০০ গুণ বেড়ে গিয়েছিল।  বিয়ে, সম্পর্ক আমার কাছে এসবের মানে কী?’

ভারতের সাবেক স্পিনার হরভজন সিংয়ের বন্ধু ছিলেন কিক-বক্সার ও ক্রীড়াপ্রেমী আয়েশা মুখার্জি।  হরভজনের প্রোফাইল থেকে আয়েশার ছবি দেখে ভালো লেগে যায় শিখরের।  অগ্রজ সতীর্থের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে যোগাযোগ শুরু,  যা একসময় ভালো লাগা থেকে রূপ নেয় ভালোবাসায়।

কিন্তু বিয়েতে রাজি ছিল না শিখর ধাওয়ানের পরিবার। কারণ দুজনের বয়সের ব্যবধান প্রায় ১০ বছর।  তার ওপর আয়েশার সঙ্গে ছিল প্রথম সংসারের দুই সন্তান রিয়া ও আলিয়া।  অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পরিবারকে রাজি করিয়ে ২০০৯ সালে আয়েশার সঙ্গে বাগদান সেরে রাখেন শিখর।

তবে তখন তিনি বিয়ে করেননি, সময় নিয়েছিলেন নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার আরেকটু গুছিয়ে নেওয়ার।  আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের অবস্থান তৈরির পর ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন আয়েশা ও শিখর।  ২০১৪ সালে তাদের সংসারে আসে একমাত্র সন্তান জোরাবর।

কিন্তু ২০২১ সালে এসে আলাদা হয়ে গেল আয়েশা-শিখরের পথ।  

তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে শিখরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  তিনি বর্তমানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আরব আমিরাতে।