ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ইভ্যালিতে নিজের চাকরি ও দায় নিয়ে যা বললেন শবনম ফারিয়া
Published : Saturday, 18 September, 2021 at 8:58 PM
ইভ্যালিতে নিজের চাকরি ও দায় নিয়ে যা বললেন শবনম ফারিয়াগ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গ্রেফতার হয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

ফলে পণ্য অর্ডার করে না পাওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এরমধ্যেই এবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ইভ্যালির অফিস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ‘হোম অফিস’ করবেন এবং স্বাভাবিক সময়ের মতোই ‘সার্ভিস চালু’ রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে ইভ্যালির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মিডিয়া ও কমিউনিকেশনস প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করা শবনম ফারিয়াকে নিয়ে সমালোচনা দেখা যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এ অভিনেত্রীর ইভ্যালিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়ে নানা কথা বলছেন।

কিছু গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশ হয়েছে শবনম ফারিয়াকে নিয়ে। সেসব বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে বলে দাবি করলেন শবনম ফারিয়া।

তিনি  বলেন, 'দুদিন ধরে খেয়াল করছি আমার সঙ্গে কথা না বলে কেউ কেউ বিভিন্ন রকমের সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করছে। সেসব খবরের শিরোনাম দেখে ভেতরের খবর না পড়ে মন্তব্য করতে কিছু মানুষের সম্ভবত খুব ভাল লাগে! যা সত্যি খুবই দুঃখজনক।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আমি অনুভব করি, গণমাধ্যমকর্মীদের কেন যেন আমার প্রতি বিশেষ ভালবাসা আছে। তবে কয়েকজন কারণে অকারণে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশে বিশেষভাবে আগ্রহী থাকেন। সম্ভবত আমি সবসময় কল রিসিভ করতে পারিনা, ভনিতা করি না, কাউকে তেলানোর ক্ষমতা আমার নেই এমন আরও কিছু কারণ থাকতে পারে। তাই বেশিরভাগ সাংবাদিক ভাইদের প্রিয় তালিকায় আমার নাম একদম শেষের দিকে।

কিছু বিষয় এখন পরিস্কার করার সময় এসেছে। আমি জুন-জুলাই এই দুই মাস একটি 'ই কমার্স সাইটে' তাদের জনসংযোগ বিভাগে কাজ করেছি। আমি সেখানে যোগদানের ১৫ দিন পর থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি রিপোর্ট চলে আসায় তাদের কার্যক্রম অনেকটাই কমে এসেছিল। জুলাইয়ের পর আমার দাপ্তরিক কোনো কাজই ছিল না! তাই আগস্টে আমি চাকরি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে আসি।'

ফারিয়া আরও বলেন, 'অনেকেই জানতে চেয়েছেন, আমাকে দেখে কেউ অর্ডার করে থাকলে তাতে আমার মতামত কি? আমি যোগদানের পরের সপ্তাহ থেকেই 'সাইক্লোন অফার' বন্ধ হয়ে ঞ১০ চালু হয়েছে। যেটি ছিল, যেখানে পণ্য পেলেই টাকা দেবে! সুতরাং আমাকে দেখে অর্ডার দিয়ে ফেঁসে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। কেউ নিজেকে এসব বলে স্বান্তনা দিলে কিংবা নিজ স্বার্থ হাসিলে শুধুমাত্র হেনেস্তা করার জন্য আমাকে টানলে আমার সত্যিই কিছু বলার/করার নেই।

তাছাড়া আমি কখনও প্রকাশ্যে কোথাও এই কোম্পানি প্রোমোট করিনি। কখনো বলিনি আপনারা বিশ্বাস রাখেন কিংবা আস্থা রাখেন। কারণ সেখানে দাপ্তরিক কাজের বাইরে আমার কোনো কিছু প্রচার প্রকাশের কোনো চুক্তি ছিল না। যেহেতু আমি পেশায় অভিনেত্রী সুতরাং আমাকে কোনো কোম্পানির প্রচারে কাজে অংশ নিলে আলাদা সম্মানি দিতে হয়। সেখানে সেই সুযোগ নেই।

আমি শুধুমাত্র আমার ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে ১০০০ কোটি টাকার যে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল সেই সংবাদ শেয়ার করেছিলাম। যেটা সেদিন বাংলাদেশের ফেসবুক ইউজার মানুষের মধ্যে সম্ভবত অর্ধেক মানুষই শেয়ার করেছিল।

এখন কথা হলো আমি চাকরি ছাড়ার পর কেন জানাইনি! কারণ আমি অহেতুক আলোচনার অংশ হতে চাইনি। আরিফ আর হোসাইন ভাই যখন বললেন, তিনি আর এখানে কাজ করছেন না। তখনও আপনারা তাকে নিয়ে ট্রোল করলেন। চাকরি ছাড়লেও সমস্যা , কাজ করলেও সমস্যা! কোথায় যাবো? অপ্রয়োজনীয় আলোচনার অংশ হতে ভাল লাগে না। কিন্তু আমার ভাগ্য এতো খারাপ কেন যেন আমারই সবসময় আলোচনা/সমালোচনায় পড়তে হয়।"

এ অভিনেত্রী আরও বলেন, 'এখন আরেকটা কথা; কিছু গণমাধ্যম লিখছে আমি নাকি অভিযোগ করেছি বেতন পাইনি! কাকে অভিযোগ করেছি? কখন অভিযোগ করেছি? কিভাবে করেছি? এই প্রমাণ কেউ দিচ্ছে না! আমার অভিযোগ থাকলে সেটা আমি প্রতিষ্ঠানটির এইচআর ডিপার্টমেন্টে করবো। সাংবাদিক ভাইদের কেন করবো? তারা কি আমাকে বেতন দেবে?

আমি যেই কোম্পানিতে কাজ করেছি তারা এখন একটা খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আশা করবো তারা সব দায় পরিশোধ করে গ্রাহকদের পাশে থাকবে।'