জয়পুরহাটের কালাইয়ে হাঁটতে যাওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘাতক স্বামী ছাদেক আলীকে (৬২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার স্ত্রীকে পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। নিহত নারীর নাম বিলকিছ বানু (৫৩)।
সোমবার (১১ অক্টোবর) রাতে উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের ধুনট গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে নিহতের ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সাদেক আলী ও তার স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। অনেকবার মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে। এরই জের ধরে সোমবার রাতে ছাদেক আলী তার স্ত্রীকে হাঁটার কথা বলে বাড়ির বাইরে বের হন। গ্রামের লোকজনও তাদের একসঙ্গে হেঁটে যেতে দেখেন। হাঁটাহাঁটির এক পর্যায়ে ছাদেক আলী তার স্ত্রী বিলকিছ বানুকে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার নোহার এলাকা থেকে সাদেক আলীকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় উদয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী বলেন, নিহতের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ছাদেক আলীর শাস্তির দাবি করেন।
মামলার বাদী নিহতের ভাই মঞ্জুরুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওদের বিচার সালিশ করতে করতে আমরা অতিষ্ঠ। অবশেষে আমার বোনকে ছাদেক হত্যা করেই ছাড়লো। আমি বোন হত্যার বিচার চাই।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছাদেক আলী তার স্ত্রীকে পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।