চাঁদপুর নৌ-সীমানায় থেমে নেই মা ইলিশ শিকার
Published : Saturday, 16 October, 2021 at 12:00 AM
বর্তমান প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় চলছে মা ইলিশ শিকার। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে এবং দিনের বেলায় প্রকাশ্যে নদীতে নিষিদ্ধ কারেন্টজাল ফেলে ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে, সরকারের সুবিধা ভোগকারী কিছু অসাধু জেলেরা। তারা প্রশাসনের হাতে আটকা পড়লে জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়ে পুনরায় মা ইলিশ ও জাটকা শিকারে মেতে উঠে।
বৃহস্পতিবার বিকালে চাঁদপুরের নৌ-সীমানার হাইমচর উপজেলার কাটাখালি লঞ্চঘাট এলাকায় জেলেদের মাছ শিকারের এমন চিত্র ধারণ করে স্থানীয়রা। এছাড়াও সদর উপজেলার রনাগোয়াল থেকে শুরু করে আখনের হাট পর্যন্ত এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গোপনে ইলিশ শিকার ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এক কেজির কম ওজনের ইলিশের হালি ১৫-১৬শ’ টাকা। ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশের হালি ১৮শ’ থেকে ২’ হাজার টাকা।
মেঘনায় টাস্কফোর্সের অভিযান থাকলেও বিশাল এই নদী এলাকায় এক শ্রেণির অসাধু জেলে মা’ইলিশ নিধন ও আহরণ বন্ধ করেনি। তারা সুযোগ পেলেই মা’ ইলিশ শিকারে মেতে উঠে শিকারে নামছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় চাঁদপুরের অসাধু কিছু জেলেদের সাথে বাহিরের জেলা থেকে অনেক জেলে এসে ইলিশ শিকারের কাজে যোগ দেয়। এরপর তারা যৌথভাবে নির্বিচারে মা ইলিশ নিধন চালায়।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ অক্টোবর থেকে আজ শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের ১৬১টি অভিযানে ১৫২ জন জেলে আটক হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে ৫১টি। জাল জব্দ হয়েছে ৯০.৫৭৯ মিটার। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে ৬৫টি।
প্রবীণ মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, প্রশাসনের এতো সব অভিযানের পরও মা ইলিশ নিধন ও শিকার বন্ধ করছে না অসাধু জেলেরা। এজন্য প্রতিটি মৎস্য নিধন এলাকায় ও জেলে পাড়ায় ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তা না হলে মা ইলিশ ও জাটকা মৌসুমে নিধন বন্ধ করা সহজ হবে না।