ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
অতিরিক্ত সচিবের সই জাল: গ্রেফতার আবদুল্লাহ দুই দিনের রিমান্ডে
Published : Saturday, 16 October, 2021 at 12:00 AM
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালকের (অতিরিক্ত সচিব) সই জাল করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩৫৫ কোটি টাকা এলসির পেমেন্ট নেওয়ার চেষ্টার সময় গ্রেফতার মো. আবদুল্লাহ মণ্ডলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়ের একটি এলসির পেমেন্টের অনুরোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের পিএডি সেকশনে ভাউচার জমা দেন আবদুল্লাহ মণ্ডল। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালকের (অতিরিক্ত সচিব) সইয়ে এই ভাউচার জমা দেওয়া হয়। ভাউচারের সইয়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালকের প্রকৃত সইয়ের মিল খুঁজে না পাওয়ায় ওই ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করেন। এরপর এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
জানা যায়, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের গত ২৮ সেপ্টেম্বর সই করা ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ ডলারের একটি এলসির বাকি ৩০ শতাংশ বাবদ চার লাখ ১৭ হাজার ৮৮১ ডলার বা ৩৫৫ কোটি টাকা পরিশোধ করার অনুমতির জন্য অনুরোধ করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আবদুল্লাহ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পিএডি (এলসি) সেকশনে এই বিলের ভাউচার জমা দেন। ওই সেকশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান এই পেমেন্টের অনুরোধ নিষ্পত্তির সময় দেখতে পান, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালকের আগের সইয়ের সঙ্গে এই সইয়ের মিল নেই। এতে তার সন্দেহ হলে বিষয়টি মতিঝিল শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন খানকে জানানো হয়।
এদিকে, বিল নিষ্পত্তিতে দেরি হওয়ায় আবদুল্লাহ মণ্ডল সেকশনের কর্মকর্তাদের হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। তিনি অর্থ মন্ত্রণালয় ও গভর্নরের কাছের লোক বলেও দম্ভোক্তি করেন। পরে ওই ব্যক্তিকে কৌশলে মতিঝিল শাখার ইডির রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক লে. কর্নেল শামীমুর রহমানকে ডেকে এনে অভিযুক্তকে তার জিম্মায় রাখা হয়। এর আগে ঘটনা শুনেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মতিঝিল থানা ও র‌্যাব-৩-কে বিষয়টি জানান। কিছুক্ষণের মধ্যেই মতিঝিল থানা ও র‌্যাব-৩-এর কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে এসে হাজির হন। পরে ইডির রুমে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সই জাল করার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চান তিনি। এরপর অভিযুক্তকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব-৩-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।