সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গত ৯ মাসে কটূক্তি বা ঘৃণাসূচক উক্তি কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। সম্প্রতি হুইসেল ব্লোয়ারের সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এমনটাই দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফেসবুকের ইন্টিগ্রিটি ভিপি গাই রোজেন একটি প্রতিরক্ষামূলক পোস্টে জানান, কটূক্তির উপস্থিতি এখন আসলে অনেকটাই কম।
তিনি আরও বলেন, ‘০.০৫ শতাংশ অথবা প্রতি ১০ হাজারে পাঁচটি কনটেন্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ৯ মাসে কটূক্তির পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে।’
তিনি অভিযোগের বিরোধিতা করে বলেন, ‘বিষয়টিকে আসলে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি ছিল সম্পূর্ণই মেট্রিকভাবে। কটূক্তিকে সরানোর আরও অন্য পন্থা রয়েছে। অর্থাৎ কনটেন্ট রিমুভ অথবা পিপল, গ্রুপ ও পেজের রিচ লিমিট করার এসব পদ্ধতি আসলে পলিসি লঙ্ঘন করার মতো।’
ভিপি গাই রোজেন বলেন, ‘এখানে সত্যের একটি মাত্রা রয়েছে। ফেসবুক খুব কম ক্ষেত্রে ভুলভাবে কোনও কথাকে কটূক্তি বলে নির্দিষ্ট করে। আর রিমুভ সিস্টেমের আগ্রাসী মনোভব কখনও কখনও দুর্ঘটনার কারণও হতে পারে। কটূক্তির ভিউ যদি খুব কম হয়, তাহলে এর প্রভাবও খুব সীমিত হয়।’
সংবাদ মাধ্যম এনগ্যাজেট জানায়, এরপরও ফেসবুকের কিছু কিছু ব্যাপারে সন্দেহ থেকে যায়, হগেন এর সাক্ষাতে দেখা যায়, ফেসবুক খুব ছোটখাটো ক্ষেত্রের আপত্তিকর বিষয়গুলোকে ধরে। বিষয়টি সত্যি হলে সমস্যা এখনও থেকেই যাচ্ছে। এমনকি এর ভিউ যদি খুব কমও হয়। এছাড়া একটি জায়গায় রোজেনের জবাব হগেনের অভিযোগকে স্পর্শ করতে পারেনি। তা হলো, ফেসবুক নিরাপদ অ্যালগরিদমের প্রয়োগ এবং কটূক্তি বা বিভেদ সৃষ্টি করে— এমন বক্তব্যের প্রসারকে সীমিত করার প্রয়াসকে বাধা দিয়েছে।