Published : Wednesday, 20 October, 2021 at 9:52 PM, Update: 20.10.2021 11:40:07 PM
কুমিল্লা শহরের নানুয়া দিঘির পাড়ের পূজা মন্ডপে হনুমানের মূর্তি পায়ে কোরআন রেখেছিলেন ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তার বাড়ি কুমিল্লার শহরের সুজানগরের খানকা মাজার শরীফ সংলগ্নে। তিনি নূর মোহাম্মদ আলমের ছেলে। পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সে রং মিস্ত্রি ছিল। কিন্তু ভবঘুরে। তার স্ত্রী রয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর রাত ২ টার পরে সে এ ঘটনা ঘটায়। সিসি ফুটেজে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, ইকবাল হোসেন নানুয়া দিঘির পাড়ের কাছে দারোগা বাড়ি মসজিদ ও মাজার থেকে একটি কোরআন শরীফ সংগ্রহ করে এবং সেটি রেখে আসার পর তার হাতে হনুমানের হাতে থাকা গদা দেখতে পাওয়া যায়। মাজার এলাকার ফুটেজ ও দিঘির পাড়ের একটি বাড়ির ফুটেজ দেখে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। সিসি ফুটেজে দেখা যায় রাত ২টা ১০ মিনিটে কোরআন শরীফটি সংগ্রহ করে। সে দারোগা বাড়ি মসজিদের উত্তরপাড়ের দিক দিয়ে একটি কোরআন শরীফ নিয়ে উত্তর দিকে(ইউসুফ স্কুলের দিকে নানুয়া দিঘির সড়ক দিয়ে) যায়। রাত তিনটা ১২ মিনিটের দিকে সে পূজা মণ্ডপের হনুমানের মূর্তির হাতে থাকা গদা নিয়ে নানুয়ার দিঘির পশ্চিম পাড়ের রাস্তার দিকে আসে আবার ঘুরে দারোগা বাড়ি মাজারের সড়কে চলে যায়। ইকবাল হোসেনের মা আমেনা বিবি জানান, শুক্রবার থেকেই পুলিশ তার ছেলের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছে। এলাকার লোকজনের কাছে আমরা খুব হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। এমন ছেলে আমার না থাকাই ভালো ছিলো। তাকে যেন মেরে ফেলা হয়। তার আগে যেন আমার মৃত্যু হয়। তিনি জানান, গত ১০ বছর ধরে সে মানসিক ভারসাম্যহীন। সে দুইটি বিয়ে করেছে। প্রথম স্ত্রী আয়েশা বেগম। তার বাড়ি কুমিল্লার বরুড়ার কচুয়ায়। তার গর্ভে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পরে ঐ স্ত্রী প্রেম করে ছেলেসহ বিয়ে করে ফেলায় পরে আবার তাকে আমরা বিয়ে দেই। দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম রুমি আক্তার। তার একটি মেয়ে রয়েছে। তার বাড়ি কুমিল্লার মিয়ার বাজারের কাদৈর গ্রামে।
আমেনা বিবি জানান, তার তিন ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে ইকবাল হোসেন বড়। সে রং মিস্ত্রির কাজ করতো।