ভারতের উত্তরাখণ্ড-কেরালা রাজ্যে এবং নেপালে ভারি বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ১৮৫ জন মারা গেছেন। ব্যাপক ভূমিধসের ফলে অসংখ্য বাড়িঘর তলিয়ে অথবা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। একই পরিবারের পাঁচজনসহ এ ঘটনায় নেপালে ৮৮ ও উত্তরাখণ্ডে মারা গেছেন অন্তত ৫৫ জন। দুই দেশেই এখনো নিখোঁজ রয়েছে বহু। ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে ভারতের কেরালা রাজ্যে মারা গেছেন ৪২ জন। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো পূর্ব নেপালের পাঁচথর জেলা এবং পশ্চিম নেপালের ইলাম ও দোটি। পশ্চিম নেপালের সেতি গ্রামে দুই দিন ধরে আটকে রয়েছে ৬০ জন মানুষ। সেখানে পৌঁছানোর জন্য হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। এরই মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের শিকার প্রত্যেক পরিবারকে এক হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া শুরু করেছে নেপাল সরকার।
এদিকে উত্তরাখণ্ডের স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে ভ্রমণ ও ধর্মীয় কার্যক্রম। দেখা গেছে উত্তরাখণ্ড রাজ্যে পুরো অক্টোবরে সর্বোচ্চ ৩০.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। কিন্তু এ সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টায় ৩২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টি ধীরে ধীরে কমছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি মৃতদের পরিবারের জন্য চার লাখ রুপি এবং যাদের ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে তাদের জন্য এক লাখ ৯০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইট বার্তায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, বন্যায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য আমি ব্যথিত। আহতদের দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেন তিনি।