শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করা আলোচিত কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এদিকে তদন্তের জন্য এনসিবির (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো) সদর দপ্তর দিল্লিতে পৌঁছেছেন ওই কর্মকর্তা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
সমীরের স্ত্রী অভিনেত্রী ক্রান্তি রেডকারের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সমীর ও তার পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
সমীরের স্ত্রী ‘গঙ্গাজল’ ছবির অভিনেত্রী ক্রান্তি রেডকার বলেন, আমি প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছি। তাই আমাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, আরিয়ান-কাণ্ডে তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল সমীরকে ঘিরে। অভিযোগ উঠেছিল, অর্থের বিনিময়ে শাহরুখ-পুত্রের বিরুদ্ধে সাক্ষী জোগাড়ের চেষ্টা করেছেন তিনি। আবার বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে আরিয়ানকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
সমীরের স্ত্রী ইন্ডাস্ট্রিতে সাফল্য পাননি বলেই নাকি খ্যাতনামীদের ‘নিশানা’ করছেন তিনি। এনসিবির এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ এনেছিলেন শিবসেনা নেতা কিশোর তিওয়ারি।
স্বামীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ প্রসঙ্গে ক্রান্তি বলেন, সমীর ওয়াংখেড়ে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো থেকে সরে গেলে অনেকেরই সুবিধা হবে।
বলিউডের সঙ্গে যোগ রয়েছে ক্রান্তির। অজয় দেবগণ অভিনীত ‘গঙ্গাজল’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। মরাঠি চলচ্চিত্র জগতেও তিনি পরিচিত মুখ।
এদিকে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিককে অভিযুক্ত করে সমীরের বোন ইয়াসমিন বলেছেন, নবাব মালিক এমন কে যে তিনি একজন আমলার জন্মসনদ দেখতে চাইছেন? মুম্বাইতে তোলা একটি ছবিকে তার তদন্তকারী দল দুবাইয়ের ছবি বলে দাবি করে। আমরা প্রতিদিন হুমকির ফোন পাচ্ছি।
সম্প্রতি নবাব দাবি করেছিলেন, মালদ্বীপ এবং দুবাইয়ে গিয়ে চাঁদাবাজি করেছিলেন সমীর। এমনকি, এই এনসিবি কর্মকর্তা তার জন্মসনদের তথ্য ‘নয়ছয়’ করেছেন বলে মনে করেন নবাব।
ভাইয়ের বিরুদ্ধে নবাবের আনা একাধিক অভিযোগকে নাকচ করেছেন ইয়াসমিন।