কুমিল্লায় ‘টেকসই নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন’ শীর্ষক সংলাপ
Published : Wednesday, 27 October, 2021 at 12:00 AM
রণবীর ঘোষ কিংকর ||
কুমিল্লায় ‘টেকসই নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন’ শীর্ষক স্টেকহোল্ডারদের সংলাপ হয়।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কুমিল্লায় ওই আলোচনা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া।
এতে বলা হয়- বাংলাদেশ বিশ্বের একটি অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। টেকসই কৃষি ব্যবস্থার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন একটি গভীর উদ্বোগের বিষয়। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে নাইট্রোজেন সারের ব্যবহার নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৬০-৬১ সালের ০.২০ মিলিয়ন টন হতে ২০১৮-১৯ সালে ১.১২ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে। অতিরিক্ত নাইট্রোজেনের ব্যবহার মাটি পানি ও বায়ু গুণমান হ্রাস করে। গ্রীণ হাউজ গ্যাস নির্গমণ বৃদ্ধি করে এবং বৈশ্বিক জলবায়ুকে প্রভাবিত করে।
সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা কেজিএফ এর নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি কুমিল্লার মহাপরিচালক মো. শাহজাহান।
এতে ঢাকা কেজিএফ মডেলিং ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট এর কো-অর্ডিনেটর ড. যতীষ চন্দ্র বিশ্বাস এর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন, কৃষি অনুষদ এর অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস প্রমুখ।
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং কেজিএফ মডেলিং ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট এর কো-অর্ডিনেটর ড. যতীষ চন্দ্র বিশ্বাস নাইট্রোজেন ব্যবস্তাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশন সংক্রান্ত দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিল্লার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অর্পিতা সেন, চান্দিনার উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল হক রোমেল, মৃত্তিকা সম্পদ ইন্সটিটিউট এর উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. লূৎফর রহমান, কৃষক মো. তাজুল ইসলাম, কৃষাণী আইরিন আক্তার সহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং গবেষণা ইন্সটিটিউট সমূহের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে কৃষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ কর্মী, এনজিও প্রতিনিধি, কেজিএফ প্রতিনিধি এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ প্রায় ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন।