দেশের
চার বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি; এক
বিভাগে নতুন কোনো রোগীও শনাক্ত হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে গত
এক দিনে আরও ২৭৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে
আরও ৬ জনের। এর মধ্যে ঢাকা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে করোনাভাইরাস
আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
এর আগে গত বুধবার ঢাকা বিভাগে শূন্য
মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতবছরের এপ্রিলের পর ঢাকা বিভাগে
সেটাই ছিল প্রথম মৃত্যুহীন দিন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায়
বরিশাল বিভাগে নতুন করে কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। এর আগে গত শনিবার
ময়মনসিংহ বিভাগে একদিনে কোনো নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি।
মঙ্গলবার সকাল
পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত কোভিড
রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ২৫৭ জনে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে
২৭ হাজার ৮৩৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ৪৪০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৩২ হাজার ১৮০ জন।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট
তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে
২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী
শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত
করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার
আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে
এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৯ লাখ ৫৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৪ কোটি ৪০ লাখের বেশি রোগী।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ১৯ হাজার ১৮৪ নমুনা পরীক্ষা
হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ৬২ হাজার ১০৭টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ, যা আগের দিন ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ ছিল।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি এবং ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, একজন নারী। ৬ জন সরকারি হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।