পরকিয়ার টানে প্রবাসীর স্ত্রী উদাও
Published : Friday, 5 November, 2021 at 12:00 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার চান্দিনায় পরকিয়ার টানে প্রবাসীর স্ত্রী উদাও হয়েছে। গতকাল চান্দিনা থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি চান্দিনা থানার কংগাই গ্রামের আব্দুল জলিলের কন্যা এবং মিরাখলা গ্রামের ওমান প্রবাসী আলম মিয়ার স্ত্রী আকলিমা আক্তার। প্রবাসী আলম মিয়ার বাবা আবু তাহের চান্দিনা থানায় এ ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুর রহমান অভিযোগটি আমলে নিয়ে অত্র থানার পুলিশের সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক কবির হোসেনকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। এএসআই কবির জানান, ওসি মহোদয় আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার সাথে সাথে আমি মেয়ের (আকলিমা) বাড়ীতে যাই সেখানে যাওয়ার পর খবর পেয়ে বাড়ীর লোকজন পালিয়ে যায়। মেয়ের মা বাবা কাউকে পাইনি। তাদেরকে বলেছি থানায় আসার জন্য বিষয়টি খুলে বলার জন্য কি হয়েছে আকলিমা কোথায় আছে। কিন্তু তারা কেউ এপর্যন্ত আমার সাথে যোগাযোগ করেনি।
প্রবাসী আলমের বাবা আবু তাহের বলেন, গত ৪ বছর পূর্বে আমার ছেলে আলম ও আকলিমার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকমাস পর আমার ছেলে ওমান চলে যায়। ছেলে বিদেশ যাওয়ার কয়েক মাস পর থেকে আকলিমা বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করে। বিষয়টি তাদের পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে ২বার বাপের বাড়ীতে গিয়ে আসতে চায়নি। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নানা রকম বুঝিয়ে আমাদের বাড়ীতে মেয়েকে দিয়েছে। আমরা গ্রহন করেছি। কিন্তু গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাপের বাড়ীতে যাওয়ার কথা বলে আর ফিরে আসেনি। মেয়ের বাবা মার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান ঐদিন সকালে তাদের বাড়ী গিয়েছিল কিছুক্ষন পর আবার সে কাপড়চোপর নিয়ে চলে গিয়েছে। কোথায় গিয়েছে তাদেরকে কিছুই বলে যায়নি। তিনি আরো জানান, আকলিমা ফেরে না আসায় পরের দিন আমরা ঘরে খুজে দেখি যাওয়ার সময় আমার ঘর থেকে মাটি ক্রয়ের ৬৫হাজার টাকা, ব্যবহৃত কাপড় চোপর, ২ভরি ওজনের স্বর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে মেয়ের অভিভাবকদের সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে আমাদেরকে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে প্রথম দিকে কালক্ষেপন করে। পরবর্তীতে উল্টো আমাদেরকে মেয়েকে খোজে বের করার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম জানান, আবদুল জলিলের পরিবারটি একটি কুলাঙ্গার পরিবার। এরা এ সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম পরিবার। তাদের বিচার সালিশ করতে করতে এলাকাবাসী অতিষ্ট। তাদের বিচার বা সালিশ আমরা আর করতে পারবো না। আপনারা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। এরা দুষ্ট প্রকৃতির লোক।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আকলিমা মেয়েটি তার এলাকার নিকটআত্মীয়ের পরকিয়ার প্রেমে পরেছে। সে এখন অন্যের স্ত্রী। তাকে পাওয়া যাবেনা। তবে তার পরিবার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে পারে। আমরাও বলেছি প্রথম দিকে তারা সমাধানের আগ্রহ দেখিয়েছে কিন্তু এখন আর সমাধানের বিষয়ে কোন কিছু বলেনি।