ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি ফলাফলের অসামঞ্জস্যতা নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের ক্ষোভ
Published : Friday, 5 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 05.11.2021 1:20:00 AM
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি ফলাফলের অসামঞ্জস্যতা নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের ক্ষোভকুবি প্রতিনিধি ||
গুচ্ছের বি ইউনিটের ফলাফলের অসামঞ্জস্যতা নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছুরা। তবে পরীক্ষা কমিটির দাবি ফলাফল ওলটপালটের অভিযোগ উঠলেও পরে সেটার সমাধান দেয়া হয়েছে। এদিকে গুচ্ছ পরীক্ষার দিন কেন্দ্র পরিদর্শক হিসেবে থাকা শিক্ষকরা আগের চেয়ে কম সম্মানী পাবেন বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
গত ২৪ অক্টোবর গুচ্ছের 'বি' ইউনিটের পরীক্ষার পর ২৬ অক্টোবর বিকেল ৫টায় ফল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ফল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, তাদের দেওয়া উত্তরের সঙ্গে ফলাফলের মিল নেই। তারা যে ক'টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, ফলাফলে উত্তরের সংখ্যা কারও বেশি কারও কম। এতে কেউ উত্তরের থেকে বেশি নম্বর, আবার কেউ কম নম্বর পেয়েছেন। পরে সেদিন রাতেই ওয়েবসাইটে টেকনিক্যাল সমস্যা বলে ফলাফল প্রকাশ বন্ধ রেখে পরে নতুন করে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত ফলেও শিক্ষার্থীদের সমস্যা কাটেনি বলে ফল বাতিল চান তারা। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে ক্ষোভে পরীক্ষার প্রবেশপত্র পোড়ান। ইংরেজির ফল বাংলায় আর বাংলার ফল ইংরেজিতে প্রকাশ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এমন একজন পরীক্ষার্থী রংপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা মোহাম্মদ নাহিদ। তিনি জানান, বাংলায় তিনি ৩৪টি প্রশ্নের বৃত্ত ভরাট করেছিলেন। কিন্তু ফলে দেখানো হয় ৩৮টি বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে। আবার ইংরেজিতে ৩৩টি প্রশ্নের বৃত্ত ভরাট করলেও ২৩টি দেখানো হয়।
ফেসবুক লাইভে এসে প্রবেশপত্রে আগুন ধরিয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, এ রকম ফলের কোনো মানে হয় না। ওরা আমার ভবিষ্যৎ পুড়িয়েছে। কোন আস্থা আর বিশ্বাসে আমি আবার দ্বিতীয়বার ফলের জন্য আবেদন করব? ভেবেছিলাম গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনেক স্বচ্ছ হবে। প্রকৃত অর্থে কিছুই হয়নি।
মুন্সীগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের সজিব হাসানের ইংরেজির ফলাফল বাংলায় আর বাংলারটা ইংরেজিতে আসে। সংশোধিত ফলাফলে ঠিক হলেও তিনি বলেন, ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মতো পরীক্ষায় এটা বিরাট ভুল। প্রশ্নপত্রে শব্দগুলো একটা আরেকটার সঙ্গে লাগানো। অনেকে বুঝতে ভুল করেছে। আরও সজাগ হওয়া উচিত ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, তারা অভিযোগের বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে তারা বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানে। আবার তাদের কাছে গেলে তারা বলেন, প্রযুক্তিগত বিষয় ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বলতে পারবেন। ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার কাছে অভিযোগ করা যাবে তা নির্দিষ্ট নয়। হটলাইনে ফোন দিলেও ধরা হয় না।
এ বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিরুদ্ধে একটি চক্রান্ত কাজ করছে। তিনি দাবি করেন, 'বি' ইউনিটের ফলাফলে সাইবার হ্যাকাররা সমস্যা করেছিল। তবে রেজাল্ট ওলটপালটের যে অভিযোগ তা ঠিক করা হয়েছে।