জাতীয়
দলের খোলনলচে কি সত্যিই পাল্টে ফেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)!
আনুষ্ঠানিক উত্তরটা পাওয়া যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। তবে সেই পথে এগোচ্ছে বলেই
মনে হচ্ছে।
খালেদ মাহমুদ সুজনের অধীনে কাজ করার জন্য সাত ক্রিকেটারকে
ডাক দিয়েছে বিসিবি। তারা হলেন- নাজমুল হোসেন শান্ত, পারভেজ হোসেন ইমন,
ইয়াসির আলী রাব্বি, সাইফ হাসান, তৌহিদ হৃদয়, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও তানবীর
ইসলাম। রোববার থেকে তাদের প্রস্তুতি শুরু হতে পারে মিরপুর শের-ই-বাংলায়।
মুঠোফোনে
সাইফ হাসান বলেছেন, ‘আমি জাতীয় লিগের একটি রাউন্ড খেলছি না। ও’ লেভেলের
দুটি বিষয়ের পরীক্ষা দিচ্ছি। শুনেছি আমাদের কয়েকজনকে ডাকা হয়েছে। হয়তো
বিকালে জানাবে। ’
যুব বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার পারভেজ হোসেন ইমনও একই কথা
বললেন, ‘একাডেমিতে আছি আমি। আমাদেরকে একটা ক্যাম্পের জন্য ডাকবে শুনেছি।
সাতজন থাকবে। বাকিটা যোগ দেওয়ার পর বলতে পারব।’
বিশ্বকাপের পরপরই তিন
টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান। দ্বিপাক্ষিক
সিরিজকে সামনে রেখে এই সাত তরুণকে বিবেচনায় নিয়েছে বোর্ড। ক্রিকেট বোর্ডের
দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, বোর্ড প্রধান ও নীতিনির্ধারকদের
শুক্রবারের বৈঠকে এই সাত ক্রিকেটারকে ভবিষ্যৎ বিবেচনায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তাদের প্রস্তুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বোর্ড পরিচালক ও গেম ডেভেলাপমেন্ট
কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদকে।
জানা গেছে, খালেদ মাহমুদকে স্থায়ী
টিম ডিরেক্টর পদও দেওয়া হচ্ছে। কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে ছাঁটাই করছে না বোর্ড।
তবে তার কাজ পর্যবেক্ষণে আনতে যাচ্ছে। এজন্য খালেদ মাহমুদকে টিম ডিরেক্টর
করা হচ্ছে। দলের সামগ্রিক সব কিছুতে তার হস্তক্ষেপ থাকবে। অনুশীলন, ম্যাচ
পরিকল্পনা, দল নির্বাচন ও লক্ষ্য ঠিক করার কাজগুলো তাকে নিয়েই করতে হবে টিম
ম্যানেজমেন্টকে।
বিশ্বকাপ থেকে চার ক্রিকেটার বাদে সবাই ঢাকা
পৌঁছেছেন। কোচিং স্টাফরা দুবাই থেকেই দেশে ফিরেছেন। ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ
দলের প্রস্তুতি শুরু হবে। তার আগেই সবাই ক্যাম্পে যোগ দেবেন।