মনোহরগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
Published : Sunday, 7 November, 2021 at 12:00 AM
মোঃ হুমায়ুন কবির মানিক ।।
‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগের যৌথ আয়োজনে র্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দিবসের শুরুতে উপজেলা সমবায় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং সমবায় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল দশটায় সমবায় কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির হোসেন। সহকারী সমবায় অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা কুসুম, মনোহরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন বালা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সেলিম কাদের চৌধুরী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ। সমবায়কে তিনি উন্নয়নের অন্যতম প্রায়োগিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। সমবায় সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা ছিল গভীর। বাংলাদেশের কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগসহ উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিসহ নারীর ক্ষমতায়ন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায় একটি কার্যকরী পদ্ধতি। কোভিড-১৯ এর কারণে সারাবিশ্ব বর্তমানে এক কঠিন সময় পার করছে। সমবায় পদ্ধতির পারস্পরিক সহযোগিতা, সমবেত প্রচেষ্টা ও মূল্যবোধের চর্চা বর্তমান সংকট উত্তরণে ভূমিকা রাখতে পারে। এ লক্ষ্যে মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর গণমুখী সমবায় ভাবনার আলোকে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’ করার কাজে হাত দিয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে দেশের ৯টি জেলার ১০টি গ্রামের মানুষ এ প্রকল্পের সুফল পাবেন। গ্রামের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত গ্রামীণ জীবনযাপনের সুযোগ ও গ্রাম থেকে শহরমুখী জনস্রোত কমাতে এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে।’