বিপজ্জনক পাকিস্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় মার্শ
Published : Tuesday, 9 November, 2021 at 12:00 AM
২০১২
সালের পর প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া। এই
প্রতিযোগিতায় তাদের সেরা সাফল্য ২০১০ সালের ফাইনাল। ওইবার ইংল্যান্ডের কাছে
পরাজিত হয়েছিল শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে। আইসিসির ইভেন্টে একমাত্র অধরা
ট্রফি হাতে নিতে মুখিয়ে তারা। এজন্য আর দুটি জয় চাই। প্রথম বাধা পাকিস্তান,
যারা এই আসরের একমাত্র অপরাজিত দল। স্বাভাবিকভাবে বাবর আজমের দলকে নিয়ে
সাবধানী অস্ট্রেলিয়া।
ফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে কঠিন বাধা পেরোতে হবে
বললেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ, ‘সবাই জানে পাকিস্তান কতটা
বিপজ্জনক দল। তাদের আছে দারুণ অভিজ্ঞতা, বোলিংয়েও অনেক গভীরতা আছে তাদের।
তারা খুবই অলরাউন্ড দল। কিন্তু আমি মনে করি আমরাও একই। আমরাও দারুণ
অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ব্যাটে বলে আমাদেরও আছে গভীরতা। তাই এটা হতে যাচ্ছে
সমানে সমান লড়াই।’
এই বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও
বাংলাদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধরাশায়ী হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের
খুব একটা ফেভারিট মনে করা হয়নি। কিন্তু সেই দলটি পাঁচ ম্যাচের চারটি জিতে
এক নম্বর গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে। ব্যর্থ দুটি সফরের দল ও
বিশ্বকাপ দলের মধ্যে ফারাক রয়েছে, তাই আত্মবিশ্বাসের কমতি শুরু থেকেই ছিল
না বললেন মার্শ।
তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের আগের লাইনআপ আর ফর্মে মনে করা
হচ্ছিল আমরা কঠিন সংগ্রামের মধ্যে পড়তে যাচ্ছি। কিন্তু আমি মনে করি যখন
আমাদের লাইন আপের দিকে তাকাবেন, দেখবেন একটি পূর্ণ শক্তিশালী দল আমরা, অনেক
অভিজ্ঞতা আর রোমাঞ্চকর খেলোয়াড়ের ভরপুর। এই দলে আছে বিশ্বের সেরা
টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়দের কয়েকজন। আমরা সত্যিই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক বিপজ্জনক দল আছে। কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং
এখন ফাইনালসে, যে কোনো কিছু হতে পারে।’
এই সেমিফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার
আগে ২৩ ম্যাচে দেখা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের। ১৩-৯ ব্যবধানে এগিয়ে
পাকিস্তান। আর একটি ব্যাপার তাদের এগিয়ে রাখছে। এই সেমিফাইনাল ভেন্যু দুবাই
আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৭ ম্যাচের পাঁচটি জিতেছে পাকিস্তান।