Published : Wednesday, 10 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 10.11.2021 12:50:05 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লায় মুক্তিপণের টাকাসহ অপহণকারী চক্রের তিন সদস্যকে
গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত ৮ নভেম্বর জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জিরুইন
বটতলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় অপহৃত
ভিকটিম ও মুক্তিপণ বাবদ নেয়া ৯ হাজার ৮শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত
তিন অপহণকারী হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার বিনাহটি গ্রামের রেনু
মিয়ার ছেলে হৃদয়, কুমিল্লার চান্দিনা থানার শ্রীরল্লা গ্রামের মৃত আব্দুর
রহমানের ছেলে মোঃ সুজন এবং ব্রাহ্মণপাড়া থানার টাকই রহমতপুর গ্রামের শামসুল
হকের ছেলে নূর মোহাম্মদ শরিফ।
র্যাব জানায়, গত ৭ নভেম্বর সিলেট জেলার
গোয়াইনঘাট থানার বগাইয়া গ্রামের ডাঃ আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ ইসমাইল আলী
(৩৫) ব্যবসার উদ্দেশ্যে কুমিল্লায় আসেন। পরবর্তীতে সে কুমিল্লার বুড়িচং
উপজেলার কংশনগর বাজারের একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে যাত্রীছাউনিতে
অবস্থান করার সময় অপহরণকারী চক্রের একটি গ্রুপ তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে করে
অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণকারী চক্রটি ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে
ভিকটিমের ভাইকে কল করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে তাকে মারধর করে এবং
টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এতে ভিকটিমের পরিবার
অপহরণকারীদের চাহিদা মতো ৭ ও ৮ নভেম্বর বিভিন্ন সময়ে তাদের দেওয়া বিকাশ ও
নগদ নম্বরে টাকা প্রদান করে। ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি ৮ নভেম্বর সকালে
র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা’কে অবহিত করলে র্যাব বিষয়টি নিয়ে ছায়া
তদন্ত শুরু করে।
পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত
তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল ৮ নভেম্বর বিকালে কুমিল্লার
ব্রাহ্মণপাড়া থানার জিরুইন বটতলা বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে অপহরণকারী চক্রের ৩ জন সক্রিয় সদস্যকে মুক্তিপণের ৯ হাজার ৮০০ সহ
গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি
নিশ্চিত করে র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার উপপরিচালক মেজর মোহাম্মদ সাকিব
হোসেন জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীদেরকে
জিজ্ঞাসাবাদে তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে, অপহরণকারীরা স্বীকার করে
যে তারা অপহরণ চক্রের সংঘবদ্ধ সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার
বাইরে থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে তাদেরকে অপহরণ করে অপহৃতের
পরিবারের নিকট থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল বলে স্বীকার করে।