ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
শেখ রাসেলকে হারিয়ে সেমিতে পুলিশ
Published : Monday, 13 December, 2021 at 12:00 AM
শেখ রাসেলকে হারিয়ে সেমিতে পুলিশস্বাধীনতা কাপে প্রথমবার খেলতে নেমেছিল পুলিশ এফসি। তাতেই অবিশ্বাস্য কৃতিত্ব দেখালো তারা। গতবারের রানার্সআপ শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার আনন্দ নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পুলিশ।
অথচ কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে তাদের আধিপত্য ছিল চোখে পড়ার মতোন! শুরুতে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল। একপর্যায়ে পরিণত হয় ১০ জনের দলেও। তার পরেও সেখান থেকে শেখ রাসেলকে রুখে রাখতে তারা সক্ষম হয়েছে।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচের আগে শক্তির দিক দিয়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল শেখ রাসেল। জাতীয় দলের একঝাঁক খেলোয়াড় ছাড়াও উঁচুমানের বিদেশি খেলোয়াড় দলটির ভাণ্ডারে রয়েছে। তার পরেও তারুণ্যনির্ভর পুলিশের বিপক্ষে পেরে ওঠেনি সাইফুল বারী টিটুর দল।
পুলিশ এফসি এগিয়ে যায় ম্যাচ শুরুর চতুর্থ মিনিটেই। আদিল কুশকুশের ক্রসে নিঁখুত হেডে ফিনিশিং করেন আমিরুদ্দিন শরীফি।
এক গোলে পিছিয়ে যাওয়ায় শেখ রাসেল চেষ্টা করেছে ম্যাচে ফিরতে। কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। ২২ মিনিটে মাচাদোর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। পরের মিনিটে হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের কর্নারে ফাঁকায় থেকেও লক্ষ্যে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি মানিক হোসেন মোল্লা।
চার মিনিট পর পুলিশও সুযোগ পেয়েছিল গোল করার। কিন্তু দুর্ভাগ্য আদিলের ফ্রি-কিকে ব্রাজিলিয়ান দেনিলো ফাঁকায় থেকে হেড নিতে পারেননি।
টানা ব্যর্থ শেখ রাসেল প্রথমার্ধের শেষ দিকেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু গোল পাওয়া হয়নি। ৩৯ মিনিটে খালেকুজ্জামানের বাঁ প্রান্তের ক্রস ফাঁকায় থেকেও প্লেসিং করতে ব্যর্থ হয়েছেন মান্নাফ রাব্বি।
দুই মিনিট পর ১০ জনের দলে পরিণত হয় পুলিশ। হেমন্ত ভিনসেন্টকে হঠাৎ মাথার পেছনে ঘুষি মেরে বসেন অধিনায়ক মোনায়েম রাজু। রেফারি মিজানুর রহমান তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখাতে কোনও কার্পণ্য করেননি।
পুলিশের শক্তি কমে যাওয়া শেখ রাসেলের সুযোগ ছিল ম্যাচে ফেরার। হেমন্তকে বাধা দেওয়ায় তারা পেনাল্টি পেয়েছিল। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান এইলতন মাচাদোর শট বাম দিকে ঝাঁপিয়ে দলকে ম্যাচে রাখেন পুলিশের গোলকিপার মোহাম্মদ নেহাল। ৫৭ মিনিটেও বক্সের বাইরে থেকে হেমন্ত ভিনসেন্টের জোরালো শট রুখে দেন তিনি।
৬২ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছে শেখ রাসেলও। পুলিশের বক্সে অহেতুক ডাইভ মেরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন হেমন্ত বিশ্বাস। বাকি সময় চেষ্টা করে শেখ রাসেল যেমন সমতায় ফিরতে পারেনি। তেমনি পুলিশও পারেনি ব্যবধান বাড়াতে। তবে জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।