Published : Friday, 17 December, 2021 at 11:00 PM, Update: 18.12.2021 12:53:26 AM
![ব্যবসার আড়ালে জুয়ার টাকা বিদেশে পাচার ব্যবসার আড়ালে জুয়ার টাকা বিদেশে পাচার](https://comillarkagoj.com:443/2021/12/16/1639760484.jpg)
দেশে ক্যামেরা ব্যবসার আড়ালে অনলাইনে জুয়ার টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। এই চক্রের ১৫ সদস্যকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
চক্রটি রাজধানীসহ ৬৪ জেলা থেকে প্রতিমাসে অন্তত ১০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে।
এই জুয়ার অন্যতম হোতা ফজলুল হক নামে এক ক্যামেরা ব্যবসায়ী। রাজধানীর পুরানা পল্টনের দারুস সালাম আর্কেড মার্কেটে "সিমপেক্স করপোরেশন" নামে তার একটি ক্যামেরার দোকান রয়েছে। অনলাইন জুয়ার কয়েকটি সাইটের বাংলাদেশ পরিচালক তিনি। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তার কাছে টাকা আসে। এরপর তার পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা হয়।
ফজলুল হকের দোকানে বিক্রীত ক্যামেরার বেশিরভাগই লাগেজ পার্টির মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসে। কিন্তু তিনি প্রায়ই এলসি বা ঋণপত্রে অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে ভুয়া ক্যামেরা আমদানি করেন। এভাবে মূলত সে টাকা পাচার করার অবৈধ প্রক্রিয়া তৈরি করেছে।
সিআইডির সাইবার ক্রাইম স্টেশনের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান জানান, ফজলুল হক ক্যামেরার অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে টাকা পাচার করেন।
এই ব্যবসায়ীকে ৮ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরের দিন সে পাচারের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
এর আগে গত নভেম্বরে একটি অনলাইন জুয়ার দেশি এজেন্টের ৯ সদস্যকে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এ মাসে আরেকটি অনলাইন জুয়ার সাইট পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ছয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশের এই তদন্ত সংস্থা।
সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাংলাদেশে অনলাইনে জুয়া পরিচালনাকারী যেসব ওয়েবসাইটের খোঁজ সিআইডি পেয়েছে, সেগুলো রাশিয়া থেকে পরিচালিত হয়। রাশিয়ার ওই ব্যক্তিও বাংলাদেশি বলে আমাদের ধারণা।
দেশে কেবল শহর নয়, গ্রামগঞ্জেও অনলাইন জুয়া ছড়িয়ে পড়ছে। সারা বিশ্বের নাম করা লীগ নিয়ে এসব বেটিং সাইট বা জুয়ার সাইটে লাখ লাখ মানুষ বেট ধরে। তবে তার আগে তাদের এসব সাইটে প্রবেশের জন্য লগইন করে সদস্য হতে হয়। এরপর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা কিনে জুয়ায় অংশ নেন তারা।