বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার বেতছড়া ঝর্ণা দেখতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া পর্যটক ভাইবোনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ জনে।
শনিবার নিখোঁজ দুজনের মৃতদেহ সাঙ্গু নদীর বেতছড়া মুখ থেকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের সাঙ্গু নদী পথে ইঞ্জিন নৌকায় করে বেতছড়া বাদুরছড়া ঝর্ণা ভ্রমণে যান নারায়ণগঞ্জের ১০ জনের একটি পর্যটক দল। বাদুরছড়া ঝর্ণায় গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন বেড়াতে আসা দুই পর্যটক ভাইবোন। নিখোঁজের একদিন পর শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে খানিকটা দূরে সাঙ্গু নদীর বেতছড়া মুখ থেকে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রথমে সকালে ৯টার দিকে বোন মারিয়া বিনতে জহির (১৭) এবং দুপুরে ২টার দিকে ভাই আহসাফ আকিবের (২২) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আকিব ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং বোন নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজের ছাত্রী। তারা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ফতুল্লার ইচদরগ্রামের বাসিন্দার ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের সন্তান।
এর আগে শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে পর্যটক মারিয়া ইসলামের (১৯) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নাজমুল আলম জানান, শুক্রবার ঝর্না দেখতে গিয়ে পানিতে নিখোঁজদের উদ্ধারে শনিবার সকালে দ্বিতীয় দফায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা, পুলিশসহ স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সাঙ্গু নদীর বেতছড়া বিভিন্ন পয়েন্টে এবং বাদুরছড়া ঝর্ণা এলাকায় খোঁজাখুজি করা হয়।
পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে নিখোঁজ ভাইবোনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সাঙ্গু নদীর বেতছড়া এলাকা থেকে। এ নিয়ে দুই দিনে ৩ জন পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত পর্যটকের মামা শামিম আহমেদ বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে ভাগিনা, ভাগ্নিসহ ১০ জনের একটি দল বান্দরবান ভ্রমণে এসেছিল। নৌকায় করে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে গোসল করতে নেমে সাঁতার না জানায় পানিতে ডুবে যায় তারা ৭ জন। এদের মধ্যে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও ৩ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।