Published : Monday, 3 January, 2022 at 12:00 AM, Update: 03.01.2022 12:23:56 AM
তানভীর
দিপু: কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর
মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, সমাজের সকলেই কাজ করতে পারেন
আপনারা। একজন অন্ধ মানুষকে যদি রাস্তা পাড় করে দেন তাহলে এটাও সমাজ সেবা।
আমরা যারা সমাজে ভালো মানুষ আছি তারা যদি একটি একটি করে সমাজসেবামূলক কাজ
করি তাহলে এসব জায়গার অভাবগুলো দ্রুত পূরণ হবে। এনজিও গুলো এক জন একজন করে
অন্ধ, বাকপ্রতিবন্ধী বা অন্য ডিজেবল শিশুদের যদি দায়িত্ব নেই তাহলে এই সমাজ
এগিয়ে যাবে। এজন্য যত সহযোগিতা লাগবে তাও আমরা করবো। বঙ্গবন্ধুর সোনার
বাংলা বিনির্মানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই অগ্রযাত্রা কুমিল্লা থেকেই
অগ্রসর হোক। কারণ আমি বিশ^াস করি কুমিল্লা এগুলে, এগুবে বাংলাদেশ।
তিনি
গতকাল কুমিল্লা টাউন হল বীর চন্দ্রনগর মিলনায়তনে সমাজ সেবা দবিস উপলক্ষ্যে
আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক
মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন
পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ, ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মিরাজ। অনুষ্ঠানে
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক জেড এম মিজানুর রহমান
খান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আরো বলেন, সমাজের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে
আমরা হিজড়া বলে চিনি। তাদেরকে নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু তাদেরকে নিয়ে কয় জন
ভেবেছে। আমি যখন সমাজ কল্যান বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলাম-তখন তাদের
উন্নয়ণ নিয়ে কথা বলেছি। প্রজেক্ট তৈরী করে দিয়েছি। সারা বাংলাদেশের
হিজড়াদের জন্য একটি কাজ করেছি, এটা আমার আত্মতৃপ্তি। আমি হিজড়াদের সাথে কথা
বলেছি, তাদেরকে কাজ দেয়ার আশ^াস দিয়েছি। হিজড়াদের সাথে কথা বলে সমাজকল্যান
মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় কমিটি থেকে তাদের জন্য একটি প্রজেক্ট নিয়ে জাতির জনক
কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিয়ে গেলাম এবং তিনি ওই দিনই তাদের
জন্য ১০ কোটি টাকার একটি ফান্ড তিনি দিয়ে দিলেন। আজকে সব হিজড়ারা রাস্তায়
রাস্তায় থাকেনা। কুমিল্লায় তাদের অন্ধকল্যান, সিটি কর্পোরেশনে কাজ দিয়েছি।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ যত টুকুই পড়াশুনা করেছেন-তাদের সে অনুযায়ী কাজে
লাগানোর জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই।
তিনি আরো বলেন, আমরা যখন
বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু করলাম ২০১০ সালে। তখন শুধু সরকারি
প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া হয়। তখন কুমিল্লার কিন্ডারগার্টেন স্কুল-গুলো জানালো
তাদেরও বই দরকার। আমি তখন প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে জানালাম, সেখান
থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানালেন এবং সাথে সাথে কাজ হলো। জননেত্রী
শেখ হাসিনার কাছে যদি কোন সঠিক জিনিস যায়, সেটা নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকে
না। তিনি সাথে সাথে সিদ্ধান্ত দেন। কারো কোন সমস্যাই থাকে না। এটাই
জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। একই ভাবে অন্ধ এবং বাকপ্রতিবন্ধী শিশুদের
জন্য স্কুল করে দিয়েছি।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে বেলুন ও পায়রা উড়ানো,
হুইল চেয়ার, সাদাছড়ি বিতরন, র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা
প্রশাসন, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয় ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমূহ দিবসটি
উপলক্ষে র্যালী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রোববার
জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ন্যাঢ র্যালি বের হয়ে প্রধান
প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে টাউন হল মাঠে এসে শেষ হয়।