টম ল্যাথামের দারুন এক ইনিংসের সুবাধে ৫২১ রানের পাহাড় গড়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেই পাহাড়ে চড়তে গিয়ে কুপোকাত হলো সফরকারী বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়েছে মুমিনুল হকের দল। যেখানে কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম করেছেন ১৫২, আর বাংলাদেশের সবাই মিলে করেছেন ১২৬!কেন এমন ব্যাটিং ব্যর্থতা? সেটার উত্তর দিয়েছেন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স।
কিউই কন্ডিশনে এমনিতেই রাজত্ব করে থাকেন ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদিরা। সোমবার এই দুই পেসার নিখুঁত সুইংয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছেন। নুরুল হাসান সোহান ও ইয়াসির আলী রাব্বি বাদে বাকি কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ইয়াসির (৫৫) ও সোহান (৪১) দায়িত্ব না নিতে পারলে বাংলাদেশের অবস্থা হতে পারতো আরও করুণ। ষষ্ঠ উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন তারা।
এই দুই ব্যাটার ছাড়া বাকিরা সব অপ্রোজনীয় শটস খেলে আউট হয়েছেন। টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারের মধ্যে মুমিনুল ছাড়া বাকি চার ব্যাটারই অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন।অথচ ঠিক উল্টোটা করে ব্যাটিংয়ে সফল হয়েছিল স্বাগতিকরা।বাংলাদেশের বোলারদের অফস্টাম্পের বাইরে রাখা ভালো বলগুলো সবই ছেড়ে দিয়েছিল তারা।
মুমিনুলদের ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সও এমনটাই জানালেন, ‘আমরা কিউইদের কাছ থেকে শিখেছি যে অফ স্টাম্পের বাইরে অনেক বল তারা ছেড়ে দিয়েছে।এটা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের একটু বেশি স্বাভাবিকভাবেই আসে। তারা বাউন্সি সারফেসে খেলে।'
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের মতোই বাংলাদেশের ব্যাটারদের কাছ থেকে এমন কিছুই আশা করছিলেন এই ব্যাটিং কোচ, ‘আমাদের ছেলেরা অনেক বেশি বল খেলে। আমার মনে হয় মাউন্টে আমরা ভালো বল ছেড়েছি এবং ব্যাকফুটে ভালো খেলেছি। আমি মনে করি আজকেও আমরা আরও বেশি বল ছাড়তে পারতাম।’
পাশাপাশি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে উইকেটে ব্যাটিং করাটা বেশ কঠিন ছিলো বলেই মনে করেন প্রিন্স, ‘আমাদের ব্যাটিং লাইন আপের জন্য আজ কঠিন দিন ছিল। নিউজিল্যান্ড শুরুটা ভালো করেছিল।তারা বলে সুইং পেয়েছে। পিচেও কিছু খাঁদও ছিল। ’
প্রিন্সের আশা তার শিষ্যরা ম্যাচের তৃতীয় দিনে ভালো শুরুর পাবেন, ‘আশা করি আগামীকাল (মঙ্গলবার) আমরা একটি ভালো শুরু করতে পারব। আমি মনে করি, আমরা অফস্টাম্পের বাইরে আরও কিছু বল ছাড়তে পারি যাতে তারা আমাদের দিকে সোজা বল করে।'