গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি হতে পারে
Published : Thursday, 13 January, 2022 at 12:00 AM
সামিটের পর বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্রের সংস্কারের জন্য ঘাটতি সৃষ্টির শঙ্কা করছে জ্বালানি বিভাগ। পেট্রোবাংলা এবং তিতাসের পর জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকবে বলে জানিয়েছেন। বলা হচ্ছে আগামী ১০ দিন ১২ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ফেসবুক পেইজে জানান ‘কারিগরি কারণে আগামী ১২ থেকে ২১ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত তিতাস অধিভুক্ত এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করতে পারে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
সূত্র বলছে, শেভরন বাংলাদেশ পরিচালিত গ্যাস ক্ষেত্র বিবিয়ানা সংস্কারে গেছে। এতে করে প্রতি দিন অন্তত ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হতে পারবে না। এছাড়া সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মুরিং ছিঁড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন ঘাটতি রয়েছে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এতে করে দৈনিক গ্যাস ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বুধবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জানান, আমরা মনে করেছিলাম আজ থেকে সংকট শুরু হবে। কিন্তু আজ বিষয়টি সেভাবে টের পাওয়া যায়নি। কাল থকেই গ্যাস ঘাটতি হতে পারে। তবে এরমধ্যে কয়েকটি কূপের ওয়ার্কওভার শেষ হওয়ার কথা। এটি হয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তিনি জানান, বিবিয়ানার কারণে ৫০ এবং সামিটের এলএনজি টার্মিনালের কারণে আরও ৪৫০ অর্থাৎ সবে মিলিয়ে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের ঘাটতি হবে।
গত ১৮ নভেম্বর সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মুরিং ছিঁড়ে যায়। এতে টার্মিনালটিতে কোন এলএনজিবাহী কার্গো ভিড়তে পারছে না।
মহেশখালীর দুটি ভাসমান টার্মিনাল দিয়ে দিনে একশ’ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। বছরের কোনও কোনও সময় দিনে ৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাসও সরবরাহ করা হয়। শীতে পাইপলাইনের ভেতর পানি জমায় গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। এ ছাড়া তাপমাত্রা কমে যাওয়াতেও এ সমস্যা দেখা দেয়। এখনও শীত জেঁকে না বসায় ঘাটতিটা চোখে পড়ছে না। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ জানুয়ারির আগে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। মুরিংটি ঠিক করতে এ সময়টুকু লাগবে বলে জানানো হয়েছে।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লা বলেন, আমাদের আসলেই কিছু করার নেই। সামিটের এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটি মেরামত হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। এছাড়া বিবিয়ানার মেইনটেইনেন্স শুরু হওয়ায় আরো কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আমরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। তিনি জানান, তিতাসের অধীন এলাকাগুলো এই স্বল্পচাপ হবে। নির্দিষ্ট করে কোনও এলাকা বলা যাচ্ছে না। সব এলাকায় হতে পারে বলে তিনি জানান।