প্রধান
নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন
দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সোমবার
বিকালে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১০
সদস্যের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে ইসি গঠন নিয়ে সংলাপে অংশ নিতে গেলে
রাষ্ট্রপ্রধান ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রতিনিধি
দলে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা
পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া
চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান,
জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম
নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী
১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই নতুন কমিশন গঠনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নতুন এ কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতেই রাষ্ট্রপতির এ সংলাপ, যা শেষ হচ্ছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে।
এরমধ্যেই সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা ইসি গঠনে আইনের খসড়ায় সায় দিয়েছে, যাতে সার্চ কমিটির বিধান রাখা হয়েছে।
এর আগে সংলাপে অংশ নেওয়া প্রায় সবদলই ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও আইনের কথা বলা হয়েছিল।
মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর খসড়া আইনটি এখন সংসদে যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে আইনসভার অনুমোদন পেলেই আইনটি কার্যকর হবে।
সোমবার
বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল একটি
নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নসহ তাদের প্রস্তাব পেশ করে।
প্রেস
সচিব জানান, তাদের প্রস্তাব, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন। এছাড়া
রাষ্ট্রপতি যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করবেন সেই প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধান
নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন।
“তারা অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল নির্বাচনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।“
এছাড়া
তারা একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনকালীন নির্বাহী
বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা,
ছবিযুক্ত নির্ভুল ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্রে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
এবং ভোটগ্রহণে ইভিএম এর ব্যবহার বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
প্রেস সচিব
বলেন, “নির্বাচন কমিশন গঠনে সুচিন্তিত মতামত প্রদানের জন্য আওয়ামী লীগের
প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দ্রুত
নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।ইতোমধ্যে ২৫টি রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা
হয়েছে।
“আলোচনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের পরবর্তী পদক্ষেপ
নেওয়া হবে। তিনি নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আইন মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে
অনুমোদন দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আইনটি দ্রুত
জাতীয় সংসদে পাস হবে এবং এ আইনে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে।”