শাহীন আলম, দেবিদ্বার।
কুমিল্লার
দেবিদ্বারে কিশোর গ্যাং বদর বাহিনীর প্রধান বদরসহ ১০ সদস্যের নামে মামলা
হয়েছে। গুরুতর আহত লিমনের বাবা মো. আলমগীর হোসেন মঙ্গলবার দুপুরে দেবিদ্বার
থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার
উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল বাতেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলায় বদর
বাহিনীর প্রধান বদর, রামিম, হিমেল, সোহাগ, শাকিব, সোহান, মেহেদী, সজিব, সমর
ও মাহিসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪জনকে আসামী করা হয়েছে। আসামীরা দেবিদ্বার পৌর
এলাকার স্থায়ী ও অস্থায়ী বাসিন্দা।
জানা যায়, গত রবিবার সন্ধ্যায়
উপজেলা পরিষদ ভবনের পিছনে বাহিনীর আধিপত্য ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বদর
বাহিনীর প্রধান বদরসহ ১০/১২জন অপর কিশোর লিমনকে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত ও
হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথম
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নিয়ে যান। আহত লিমন ছোট আলমপুর গ্রামের মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে।
লিমন
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডিসের বিল উত্তোলন করত। তার বাবা ডেইলি শ্রমিকের কাজ করেন।
লিমন বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলার
বাদী মো.আলমগীর হোসেন জানান, মানুষ এভাবে কাউকে মারতে পারে না , তারা
যেভাবে আমার ছেলেকে মেরেছে। তার দুই হাত ও পায়ের মাংস আলাদা ফেলেছে পিঠে
ছুরিকাঘাত করেছে। কিশোর গ্যাংয়ের ১০জনের নামে মামলা দায়ের করেছি। স্থানীয়
বাসিন্দারা জানায়, তুচ্ছ কারণে প্রায়ই বিগড়ে যায় তাদের মেজাজ। লেগে পড়ে
ঝগড়া-বিবাদে। এই নিয়ে এক কথায়-দুই কথায় একে অন্যকে খুনের হুমকিও দেয়। তাদের
উচ্ছংখল জীবন যাবনে সমাজ ব্যবস্থা নষ্ট হচ্ছে, এদের নির্মূল করা জরুরি।
মামলা
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আবদুল বাতেন বলেন, মামলার এজহারনামীয় সকল
আসামীদের শনাক্ত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
দেবিদ্বার
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের ১০ জনের নামে
আহত লিমনের বাবা মো. আলমগীর হোসেন মামলা দায়ের করেছেন। কিশোর গ্যাং
নির্মূলে কাজ করছে পুলিশ। যেকোন সময়ে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা
হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আশিক উন নবী তালুকদার বলেন, কিশোর
গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি অভিভাবক সচেতন
হতে হবে। যারা মদদ দিয়ে কিশোরদের ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।