Published : Wednesday, 19 January, 2022 at 12:00 AM, Update: 19.01.2022 12:57:39 AM
তানভীর দিপু: কুমিল্লায় করোনার
সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করছে সাধারণ নগরবাসীসহ করোনা
প্রতিরোধ সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপণ জারির পরও
সাধারণ মানুষের উদাসীনতাই ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগকে। সর্বশেষ একদিনের
রিপোর্টেও দেখা গেছে কুমিল্লায় করোনা শনাক্তের হার ২৩ শতাংশের বেশি। সাধারণ
করোনা নমুনা পরীক্ষাকারী ১৭৭ জনের মধ্যে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪১ জন।
এছাড়া বিদেশগামী ৫০২ জনের মধ্যে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩৫ জন। তবে এই
সময়ের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরন করেনি, আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির
সংখ্যাও কম। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা
ডেডিকেটেড ইউনিটে গতকাল পর্যন্ত ভর্তি আছে ৪৩ জন। এর মধ্যে ৫ জন করোনা
পজেটিভ।
কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, এখনো মাস্ক
ব্যবহার করছে না বেশিরভাগ মানুষ। নিরিাপদ সামাজিক এবং শারীরিক দূরত্ব মানছে
না কেউই। যে যার মত চলাফেরা এবং করোনা নিয়ে উদাসীনতার চিত্র কোনভাবেই
প্রকাশ করে না- করোনা মহামরির তৃতীয় ঢেউ চলছে। এদিকে কুমিল্লার লাকসাম
উপজেলায় পশ্চিম গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক করোনা শনাক্ত
হওয়ায় স্কুলটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কুমিল্লার
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, জেলা
প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক, দুই জন ইউএনও ও দুই জন
ম্যাজিষ্ট্রেটও করোনায় আক্রান্ত। যে কারণে আগামীকাল(আজ) অন্যান্যদেরও করোনা
পরীক্ষা করা হবে। তবে অন্য ম্যাজিষ্ট্রেটরা বুধবার থেকেই করোনা
স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে অভিযান পরিচালনা করবেন।
জেলা সিভিল সার্জন মীর
মোবারক হোসাইন জানান, পরীক্ষার সংখ্যা কম হবার কারণে শনাক্তের হার বেশি
দেখাচ্ছে। কুমিল্লায় ডেল্টা নাকি অমিক্রনের সংক্রমণ বেশি সেটা বলা যাচ্ছে
না। তবে ডেল্টা হলে পরিস্থিতি আশংকাজনক হবে। যেহেতু রাজধানী ঢাকায়
অমিক্রনের সংক্রমন বেশি. ারণা করা হচ্ছে কুমিল্লাতেও অমিক্রনের সংক্রমন
বাড়তে পারে।
সিভিল সার্জন আরো বলেন, করোনা বিধি নিষেধ নিয়ে সাধারণ
মানুষের উদাসীনতাই এখন আশংকার বিষয়। মানুষ সচেতন না হলে সংক্রমন বাড়তেই
থাকবে। শুক্রবার পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চলবে,
এরপর থেকেই উদাসীনদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া শুরু হবে।
কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোঃ মহিউদ্দিন জানান, এখনো হাসপাতালে
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়েনি। তবে দেশর অন্যান্য জেলার তুলনায়
কুমিল্লায় যেহেতু সংক্রমণ হার বেশি সেক্ষেত্রে উদাসীনতার কোন সুযোগ নেই।
কিন্তু শহরে এবং গ্রামে সাধারণ মানুষ এখনো সচেতন হয় নি। যা এখন আশংকার
বিষয়। সবাইকে মাস্ক এবং করোনা স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কঠোরভাবে সচেতন হতে হবে।