মঙ্গলবার তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লু সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে আগামী নভেম্বরের বিশ্বকাপ আসরের জন্য। এই আসর যেন সুষ্টুভাবে সম্পন্ন হয়, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যেন ত্রু টি না থাকে- তা নিশ্চিতে কাতারে মোট ৩ হাজার ২৫০ জন নিরাপত্তাকর্মী পাঠানো হবে।
নিরাপত্তা সহায়তা ছাড়াও বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাতারের ৬৭৭ জন নিরাপত্তা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তুরস্কের সরকার বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছে বলেও জানান তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর আল জাজিরার।
সয়লু আরও জানান, কাতারকে নিরাপত্তা সহায়তা দিতে যে নিরাপত্তাকর্মীদের পাঠাবে তুরস্কের সরকার, তাদের মধ্যে ৩ হাজার দাঙ্গা পুলিশ সদস্য, তুর্কি পুলিশের বিশেষ বাহিনীর ১০০ সদস্য, ৫০ জন বোমা বিশেষজ্ঞ, বোমা শনাক্তে সক্ষম ও বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ৫০ টি কুকুর ও তাদের পরিচালনার জন্য ৫০ জন অপারেটর থাকবেন।
গত ১০ বছরে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য অভাবনীয় সব প্রকল্প হাতে নিয়েছে কাতার। দেশটিতে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির আয়োজন শুরু করেছে। সেখানে ব্যাপকহারে দালান নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন করে ৭টি স্টেডিয়াম বানানো হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি বিমানবন্দর ও সড়কের কাজ চলমান রয়েছে।
পাশাপাশি যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে সড়কগুলো মেরামত ও নতুন সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। হোটেলগুলো ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের আমন্ত্রিত অতিথি ও দর্শকদের সমাগম ঘটবে কাতার বিশ্বকাপ ঘিরে।
তুরস্কের সঙ্গে কাতারের পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই ভালো। সেই ধারাবাহিকতায় তুর্কি সেনারা দেশটিতে ভালো সুবিধা পান। ২০১৭ সালের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে তুর্কি সৈন্যদের বিভিন্ন বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কাতার।
২০১৭ সালের ৫ জুন সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত ও মিসরসহ কয়েকটি দেশ। এই সংকট শুরুর দুইদিন পর তুরস্কের পার্লামেন্ট কাতারে তাদের সামরিক ঘাঁটিতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়।
অবরোধ জারিকৃত দেশগুলোর ১৩ দাবির মধ্যে একটি ছিল কাতার থেকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার করা। তবে সেই পথে হাঁটেনি কাতার।
২০১৫ সালের ১৮ জুন তারিক ইবন জিয়াদ সামরিক ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো অবস্থান নেয় তুর্কি সেনারা। এতে করে কাতারের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।