জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মহল।
পীর হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও উপমন্ত্রীর এ কে এম এনামুল হক শামীমও গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
এদিকে, পীর হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশান (ডুরা)। কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে ডুরার সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক শাহেদ শফিক গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। সংগঠনের নেতারা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৮ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পীর হাবিবুর রহমান। তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার, কিডনি জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন পীর হাবিব। গত বছরের অক্টোবরে ভারতের মুম্বাইয়ের জাসলুক হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের মাধ্যমে ক্যান্সারমুক্ত হন তিনি। এরপর গত ২২ জানুয়ারি করোনায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শে পীর হাবিবকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি করোনামুক্ত হলেও কিডনি জটিলতার কারণে ভর্তি হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তার স্ট্রোক হলে স্থানান্তর করা হয় ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে। কিন্তু আইসিইউ থেকে আর ফেরা হয়নি তার।
এদিকে, পীর হাবিবুর রহমানকে জন্মভিটা সুনামগঞ্জের মাইজবাড়ীতে বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত করা হবে। আগামী সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর তার দাফন সম্পন্ন হবে।