ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের মারামারি, গ্রেপ্তার ১০
Published : Monday, 7 February, 2022 at 12:00 AM
রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হঠাৎ করে সড়ক অবরোধের চেষ্টা থেকে এ গোলযোগের শুরু, যা ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
তবে ঘটনার পর আটকদের নাম জানায়নি পুলিশ।
পল্টন থানার ওসি সালাউদ্দিন মিয়া জানান, বিএনপি কার্যালয়ে প্রতিদিনই দলটি বা অঙ্গ সংগঠনের নানা কর্মসূচী থাকে। এজন্য সেখানে নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়।
রোববার থানা পর্যায়ের ছাত্রদলের কর্মী সমাবেশ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তা অবরোধ করে মিছিল বের করে।”
এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানে থাকা অল্প সংখ্যক পুলিশ সদস্য তাদের মিছিল করতে নিষেধ করেন। কিন্তু তারা কোনো কথা না শুনে বিভিন্ন দিক থেকে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
হামলায় পল্টন থানার এসআই রেজাউল ইসলামের মাথা ফেটে যায় এবং   সহকারি কমিশনার আবুল হাসানসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
“এই অবস্থায় পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ছুঁড়ে করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১০ জনকে আটক করেছে।”
সহকারি কমিশনার আবুল হাসান জানান, কারণ ছাড়াই বিনা উস্কানিতে বিএনপি, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।
অপরদিকে বিএনপিরও দাবি, কারণ ছাড়াই পুলিশ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
রাত সাড়ে ৯টায় নয়া পল্টনের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ‘‘সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পরপরই পুলিশ বিনা উস্কানিতে বিএনপির নয়া পল্টনের অফিসের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
এতে অসংখ্য নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয় দাবি করেন তিনি।
পুলিশ অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার পরে রাত ৮ টার সময় বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব ও গত সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনের বিএনপি থেকে মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী রফিকুল আলম মজনুকে আটক করে পুলিশ।”
রিজভী পুলিশি হামলা ও গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তাদের মুক্তি দাবি করেন।