কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার মামুনুর রশিদ ওরফে আশিক (১৮) শিলাইদহের কোমরকান্দি বাজারের মোটরসাইকেল মেকানিক। তার নেশা স্কুল ছাত্রীদের রাস্তাঘাটে ইভটিজিং করা। এ কারণে ছাত্রীরা চলার পথে আতঙ্কিত থাকে। এমন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে দিদারুল ইসলাম (১৬)। এই প্রতিবাদই কাল হলো তার। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে আশিকের বড় ভাই আলী ওরফে বাবু বিশ্বাস (২১)। ছোট ভাইয়ের অন্যায় কাজে বাধা না দিয়ে প্রতিবাদকারী বিদারকে হত্যা করে পালিয়ে যায় সে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
মুক্তা ধর জানান, মামুনুর রশিদ ওরফে আশিকের ইভটিজিং মানতে পারেনি খোরশেদপুর মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভকেশনালের দশম শ্রেণির ছাত্র দিদারুল ইসলাম। সে এলাকার সচেতন ব্যক্তিদের নিয়ে যেকোনও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো। এরই ধারাবাহিকতায় মেয়েদের ইভটিজিং করার প্রতিবাদসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আশিক ও দিদারের সঙ্গে শত্রুতা শুরু হয়। এর সূত্র ধরে আশিকের ভাই তার পক্ষ নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিবাদী দিদারকে বাবুর মালিকানাধীন ‘বাবু ফার্নিচার’ নামের দোকানে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘটনার পর নিহতের পিতা আবুল হোসেন কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সিআইডির এলআইসি শাখা ছায়াতদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল (২১ ফেব্রুয়ারি) ফেনী সদর থানার ডাক্তার পাড়া এলাকা অভিযান চালিয়ে আলী ওরফে বাবু বিশ্বাসকে (২১) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর বাবু নিজের দায় স্বীকার করে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।