ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বিষাক্ত পারদের ব্যবহার করেছেন ৯৫ ভাগ দন্ত চিকিৎসক
Published : Thursday, 24 February, 2022 at 12:00 AM
প্রায় ১৯ শতক থেকে দাঁতের চিকিৎসায় পারদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে, কিন্তু শুরু থেকেই এটা একটা বিতর্কের বিষয় ছিল। ১৮১৯ সালে অ্যামালগাম আবিষ্কারের অল্প সময়ের মধ্যেই এর বিভিন্ন ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো দেখা দিয়েছিল। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশগুলোর জন্য পারদ বিষক্রিয়া একটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দন্ত চিকিৎসকরা এখন পারদের ব্যবহার বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ডেন্টিস্ট ও রোগীরা মার্কারি অ্যামালগাম ফিলিংসের বিকল্প ব্যবহার করছেন। দেশের নিবন্ধিত ৯ হাজার ৮৬ ডেন্টিস্টের মধ্যে ৮ হাজার ৬৯৭ জন (৯৫ দশমিক ৭০ ভাগ) ডাক্তার মার্কারি ডেন্টাল অ্যামালগাম ব্যবহার করছে না।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) আয়োজিত 'কান্ট্রি সিচুয়েশন রিপোর্ট অন ফেজিং আউট মার্কারি অ্যামালগাম' শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে। বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি- বিডিএস এবং পরিবেশ অধিদফতরের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এসডো, বিডিএস এবং এশিয়ান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল হেলথের সহযোগিতায় এবং ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর মার্কারি-ফ্রি ডেন্টিস্ট্রির সহায়তায়, বর্তমানে বাংলাদেশে মার্কারি অ্যামালগাম ব্যবহারকারী ডেন্টিস্টদের সংখ্যা মূল্যায়ন করার জন্য একটি জরিপ পরিচালনা করে। গবেষণার ফলাফল থেকে দেখা গিয়েছে যে, নিবন্ধিত ৯০৮৬ ডেন্টিস্টদের মধ্যে, ৮৬৯৭ জন ডেন্টিস্ট (প্রায় ৯৫ দশমিক ৭০ ভাগ) মার্কারি ডেন্টাল অ্যামালগাম ব্যবহার করছেন না।
গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে যে, ৯৫ দশমিক ৭০ ভাগ দন্ত চিকিৎসক ইতিমধ্যে বিকল্পগুলোর ব্যবহার শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তাদের মধ্যে ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর মার্কারি ফ্রি ডেন্টিস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট-আফ্রিকা ডমিনিক ব্যালি এবং ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিনের ডিরেক্টর ফ্লোরিয়ান শুলজ উভয়ই মার্কারি অ্যামালগামকে ফেজ আউট করার ওপর নিজেদের ধারণা প্রকাশ করে পর্যায়ক্রমে আফ্রিকান ও ইউরোপিয়ান সংশোধনীর ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার সর্বদা জনগণের উন্নতির জন্য কাজ করছে। দন্ত চিকিৎসায় বিকল্পগুলো সকলের কাছে সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী হওয়া দরকার যাতে আমরা আমাদের দেশ থেকে এই বিপজ্জনক বিষাক্ত পারদ ব্যবহার বন্ধ করতে পারি।