ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
একটি ঘর চান অসহায় খাদিজা আক্তার
Published : Tuesday, 1 March, 2022 at 12:00 AM, Update: 01.03.2022 12:17:11 AM
একটি ঘর চান অসহায় খাদিজা আক্তারশাহীন আলম, দেবিদ্বার।
খাদিজা আক্তারের বয়স ২৫ বছর। বর্তমানে তার অসুস্থ্য বাবাকে নিয়ে একটা ভাঙাচোরা ছাপড়া ঘরে থাকেন। বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করে দু’বেলা দুমুঠো ভাত জুটে খাদিজা ও তাঁর বাবার।  
 গত ৫ বছর আগে খাদিজার মা আমেনা বেগম মারা যান। বাবা আবুল হাশেমও পেটে টিউমার নিয়ে মৃত্যু শয্যায়। মা মারা যাওয়ার পর এই খাদিজাই বাবাকে দেখাশুনা করেছেন। বাবাকে গোসল, খাওয়াসহ অসুস্থ বাবার সেবা যত্নের কোন কমতি রাখেন না এই খাদিজা। খাদিজা আক্তারের বাড়ি পৌর এলাকার ফতেহাবাদের উত্তর পাড়ায়। মামার বাড়ির অংশ হিসেবে চারশত জমি পাওয়ায় ওই জমিতে একটি ছাপড়া ঘর তুলে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করছেন। অসহায় খাদিজা আক্তার জানান, দিন দিন বয়স বাড়লেও বিয়ে করতে চাচ্ছি না, কারণ তাকে ছাড়া অসুস্থ বাবাকে দেখার মত আর কোন মানুষ নেই। এছাড়া সহায় সম্বলহীন ও ঘর বাড়ি ছাড়া কেউ তাকে বিয়ে করতে চায়না। বয়স বাড়লেও বাবার সেবা যত্ন করে দিন পার করছি।
তিনি আরও জানান, মামার বাড়ির অংশ থেকে চার শতক জমি পেয়েছি, জমি পেলেও কি হবে অর্থের অভাবে ঘর তুলতে পারছি না। এই জমিতেই জড়াজীর্ণ একটি ছাপড়া ঘর তুলে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে বসবাস করছি। বৃষ্টি এলেই ঘরের মধ্যে পানি পরে, বসে থাকতে হয় বিছানা গুছিয়ে। শীতেও বাতাসের কারণে ঘরের মধ্যে বসবাস করা  যায়না। তবে একটা ঘর পেলে বাবা মেয়ের কষ্টটা দূর হতো। খাদিজার বাবা অসুস্থ আবুল হাশেম বলেন, পেটে দীর্ঘদিন ধরে একটি টিউমার। টিউমারটি আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। এছাড়া আমার শ্বাসকষ্ট রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, টিউমার অপারেশনের জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। যা কিছু টাকা পয়সা ছিলো তা দিয়ে চিকিৎসা চালিয়েছি। এখন আর পারি না তাই চিকিৎসা বন্ধ।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. লিটন বলেন, এই পরিবারটি খুবই অসহায়। তাঁদের মাথা গুজার ঠাঁই বলতে এ ছাপড়া ঘরটিই আছে।পাড়া প্রতিবেশীর বিভিন্ন সহযোগিতায় তাদের সংসার চলে। সবার সহযোগিতায় একটি ঘর পেলে পরিবারটির অনেক উপকার হবে।  জাকিরুল ইসলাম নামে স্থানীয় একজন জানান, খাদিজার বয়স দিন দিন বাড়ছে। মেয়েটাকে বিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না একটি ঘর না থাকায়। সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসলে এ মেয়েটি মাথাগুজার ঠাঁইও পেত বিয়েও দেওয়া যেত। দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আশিক উন নবী তালুকদার বলেন, খাদিজা আক্তার যদি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নিতে আগ্রহী হয় তাকে একটি ঘর দেওয়া হবে। আর ‘জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পে আবেদন করলে প্রকল্প শুরু হলে সেটি বিবেচনা করা হবে।